কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘ব্যক্তি অনুগতদের’ দলে না নেয়ার নির্দেশনা

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

মন্ত্রী, এমপি কিংবা দলের শীর্ষ নেতাদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে কাউকে দলের কমিটিতে না নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে যাদের কমিটি করার দায়িত্ব তারা যেন ব্যক্তি অনুগতদের কমিটিতে স্থান না দেন এ নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। গতকাল দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, তৃণমূলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ‘মাই ম্যান’ নেতাদের জায়গা দেয়া যাবে না। তৃণমূলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দলের দুর্দিন-দুঃসময়ের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাদের ঠাঁই দিতে হবে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক উপস্থিত নেতারা জানান, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক হলেই নিজেদের লোক দিয়ে মাই ম্যান (নিজস্ব বলয় সৃষ্টির জন্য) কমিটি গঠন করা যাবে না। কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের মধ্যে যোগ্যতাসম্পন্ন ও পরীক্ষিত নেতাদের কমিটিতে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এদিকে বৈঠকে দলের শীর্ষ কয়েক নেতা দলের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান। তারা বলেন, মন্ত্রী হওয়ার পর তাদের আচরণ পরিবর্তন হয়ে গেছে। ফোন দেয়া হলে ফোন ধরেন না। ব্যাকও করেন না। মন্ত্রীরা বলেন, আমরা নাকি শুধু সুপারিশ করার জন্য ফোন করি। তৃণমূলের অনেক ত্যাগী নেতা আছেন যারা আমাদের কাছে আসেন সুপারিশের জন্য। তাদের জন্য কি আমরা সুপারিশ করবো না? তাছাড়া সাংগঠনিক অনেক বিষয়ের জন্যও তাদেরকে ফোন করতে হয়। ফোন না ধরেই মন্ত্রীরা কীভাবে বোঝেন যে, শুধু সুপারিশের জন্যই ফোন করছি। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নেতাদের এসব বক্তব্য শুনলেও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান। বৈঠকে আটটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক নেতারা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। তারা কোন জেলা কমিটিতে সিনিয়র-জুনিয়র জেষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন করা হয়েছে, কারা কারা তাদের নিজেদের লোকদের জায়গা দিয়ে ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়েছে সে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন। নেতাদের এসব বক্তব্যর পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, সাংগঠনিক কাজ করতে গিয়ে কে কোথায় কি সমস্যা ফেস করছে, সেটা আমাকে অবহিত করবেন। আমি চাই তৃণমূলে দলের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাকর্মীসহ সমাজে যারা স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষজন আছে তাদেরও দলে টানতে হবে। কাজ করতে গিয়ে কমিটি করতে গিয়ে কোথাও কি সমস্যা হচ্ছে তা আমাকে জানাবেন। দলে সেক্রেটারি আছে তাকে জানাবেন। বৈঠকে আট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে সাতজন কথা বলেন। দুইজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে কথা বলেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ। স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম কিবরিয়া চিনু, মেরিনা জাহান কবিতা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বৈঠক শেষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন ব্রিফিং করেন। সেখানে তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই দলের অভ্যন্তরে বিতর্কিতদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া চলবে না। তিনি বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে বলেন, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সাংগঠনিক কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দুর্দিনের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও নিবেদিত নেতাকর্মীরা যাতে বাদ না পড়ে সেদিকে সকলকে লক্ষ্য রাখতে নির্দেশ দেন। তৃণমূলের সকল কমিটি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গঠন করতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হলে মাঠের লোকরাই নেতা হবেন। আর সম্মেলন ছাড়া কমিটি হলে লবিংয়ে বা তদবিরের লোক নেতা হয় বলেও জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে উন্নত জীবন দিতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই লক্ষ্য অর্জনে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সরকার।৮টি বিভাগীয় টিম গঠন: এদিকে বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ-এর সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের সমন্বয়ে ৮টি বিভাগীয় টিম গঠন করার কথা জানানো হয়। দলের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটির টিম সমন্বয়ক ও সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে এসব কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভাগভিত্তিক সাংগঠনিক সমস্যাসমূহ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিভাগীয় টিম তা সমাধান করবে। যার ফলে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা আরো বৃদ্ধি পাবে। টিমগুলোর মধ্যে রংপুর বিভাগের টিম সমন্বয়ক করা হয়েছে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে। রাজশাহী বিভাগের টিম সমন্বয়করা হলেন- ড. হাছান মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। খুলনা বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হককে। বরিশাল বিভাগে আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন। ঢাকা বিভাগের সমন্বয়ক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। ময়মনসিংহ বিভাগে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে-ডা. দিপু মনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলকে। সিলেট বিভাগের দায়িত্বে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক। চট্টগ্রাম বিভাগের টিম সমন্বয়ক মাহবুব উল-আলম হানিফ ও সাগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।করোনায় এতো বড় আত্মত্যাগ আর কোনো দল করেনিপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের সংগঠন হলো আওয়ামী লীগ এবং এই আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে। যেটা এবার দুর্যোগ, করোনা মহামারির সময়েও প্রমাণ হয়েছে। কারণ, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসই আমাদের একমাত্র সম্বল, সেটাই আমাদের শক্তি। করোনাকালীন দলের ৫২২ জন নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতো বড় আত্মত্যাগ আর কোনো দল কিন্তু করেনি। প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গতকাল গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সার্বিকভাবে দুর্যোগ (মহামারি) মোকাবিলা এবং দেশকেও সচল রাখা- এই সব ধরনের কাজই আমরা করে যাচ্ছি। তিনি এ সময় দলের নেতাকর্মীদের সবসময় জনগণের পাশে থাকারও পরামর্শ দেন। ভূমিহীন এবং নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার যাতে সহায়তা করতে পারে সেজন্য বাজেটে বরাদ্দ রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুজিববর্ষে আমাদের ঘোষণা প্রত্যেক গৃহহীনকে আমরা ঘর করে দেবো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিকে করোনা, তারমধ্যে এলো ঘূর্ণিঝড় (আম্ফান) এবং বন্যা, সব মিলিয়ে সারা দেশের মানুষ একটা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে ছিল। কিন্তু সে সময় আমাদের দল এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রত্যেক এলাকায় জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে মানুষের পাশে ছিল। যারা হাত পাততে পারেন না এমন সব মানুষের কাছে এসব নেতাকর্মীরা রিলিফ পৌঁছে দিয়েছে, চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিয়েছে, এমনকি মৃতদেহ সৎকারেও অংশ নিয়েছে। এসবের খবর গণমাধ্যমগুলোতে না এলেও তার কাছে সেই তথ্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি এজন্য দল এবং সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং প্রশাসনে থাকা ব্যক্তিবর্গসহ সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপিসহ প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করায় তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সকলে একযোগে এভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনকে তিনি নজিরবিহীন বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল বলেই মানুষ এই সহযোগিতা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিএনপি’র করা ঢালাও সমালোচনার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, অনেকেরই আমরা ভাষণ শুনি। অনেকে অনেক কথা বলে বা যেগুলো আমরা করে ফেলি বা নির্দেশনা দেই বা পদক্ষেপ নেই, তার ওপর আবার অনেককেই উপদেশ দিতেও দেখেছি। তার সরকারের করে দেয়া স্বাধীন মতপ্রকাশের অপব্যবহার করে অনেকেই পত্র-পত্রিকায় এবং ‘মিডিয়া টকশো’তে সরকারের বিষোদ্গার করে (অনবরত) গেলেও মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। কেউ আবার বিচার করে আওয়ামী লীগ কতটুকু করলো, আর কতটুকু করলো না। কিন্তু আয়নায় তারা নিজেদের চেহারা দেখে না। দেশের বিভিন্ন এনজিও’র করোনাকালীন কোনো ভূমিকা না থাকার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশে তো গরিব মানুষকে সেবা করার অনেক রকম প্রতিষ্ঠান, অনেক রকম কার্যক্রম আমরা দেখি। কিন্তু এই করোনাকালীন সময়ে তাদের কোনো কার্যক্রম আমরা দেখি নাই। এটা হলো বাস্তবতা। তখন সবাই ঘরে, মানুষের পাশে আর কেউ নাই। তবে, মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ থেকেছে। কারণ এটা জনগণের সংগঠন। করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়লেও বাংলাদেশে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ৫ লাখ কোটি টাকার উপরে বাজেট দিয়েছি, যেটা একটা কঠিন কাজ ছিল। আমরা বলেছি- খরচ করবো সীমিত আকারে, যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু। কিন্তু অর্থনীতি গতিশীল রাখার জন্য বাজেট আমরা ঠিক রেখেছি। তিনি বলেন, তারা সেভাবে কাজ করেছে বলেই আমরা এই করোনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। করোনাকালীন বিভিন্ন দেশে লকডাউনের সময় প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিদেশে আর্থিক সাহায্য পাঠানোর পাশাপাশি বিশেষ বিমান পাঠিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার তথ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখি। তারা তো আমাদের দেশের নাগরিক। কাজেই তাদের ভালোমন্দ আমাদেরই দেখতে হবে। করোনাকালীন বিভিন্ন স্থানে সশরীরে যাওয়া না গেলেও সরকারের করে দেয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর উপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সাংগঠনিক শক্তি হচ্ছে সবচেয়ে বড়। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে সেটা করোনা মোকাবিলায় যখন মাঠে নেমেছে, তখনই প্রমাণিত হয়েছে। করোনাকালীন দলের ৫২২ জন নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত বড় আত্মত্যাগ আর কোনো দল কিন্তু করেনি। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা যে স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছেন সেই স্বাধীনতার সুফল যেন প্রত্যেকের দোরগোড়ায় পৌঁছতে পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ যেন আমরা গড়তে পারি সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় সম্মেলন হলেও হয়তো করোনার কারণে কমিটি আমরা করতে পারিনি। খোঁজ নিতে কিংবা যেতে পারিনি। কাজেই আমার মনে হয় এখন একটা সময়, সেসব কাজগুলো আমরা করতে পারবো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত