কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

৬ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দুই মন্ত্রীর বৈঠক

মানবজমিন প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে প্রবাসী শ্রমিকদের সমস্যার সমাধানকে প্রাধান্য দিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলের ৫ দেশ এবং মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে যৌথভাবে ব্রিফ করেছে বাংলাদেশ। বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমেদ রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফ করেন। ব্রিফিংয়ে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান এবং ইরাকের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি এবং মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন। কুয়েতের আমীর শেখ সাবাহ্‌ আল-আহমেদ আল-সাবাহ্‌র মৃত্যুজনিত কারণে দেশটির কোনো প্রতিনিধি ব্রিফিংয়ে থাকতে পারেননি। ব্রিফিং শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ঢাকায় আটকেপড়া সৌদি প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো সংক্রান্ত দুর্ভোগ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে গিয়ে কাজ করতে হলে চাকরিদাতাদের কাছ থেকে অবশ্যই ছাড়পত্র লাগবে। অন্যথায় কেউ কাজের উদ্দেশে যেতে পারবেন না। তিনি বলেন, চাকরিদাতা যদি চাকরি না দেয়, তবে কর্মী যেতে পারবে কীভাবে? এ ব্যাপারে সরকারের করণীয় কী আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি বলেন- আমরা কী করতে পারি। আপনি চাকরি দেবেন বলেছেন, কিন্তু দিলেন না। এক্ষেত্রে আমরা কি করতে পারি? প্রবাসীদের রাস্তায় নামার কোনো কারণ নেই দাবি করে মন্ত্রী বলেন, যেহেতু তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তাদের নতুন চাকরি খুঁজতে হবে। তাদের বেশি অসুবিধা হওয়ার কথা না। মালিক যদি চাকরি না দেয় তবে কী করার আছে। আমরা তো তার চাকরি ঠিক করে দিতে পারি না। এখন পর্যন্ত ছয় হাজার লোক সৌদি আরব গেছেন এবং তারা অনুমতি নিয়ে গেছেন বলে তিনি জানান। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী জানান, মার্চ পর্যন্ত ২৫ হাজার বাংলাদেশিকে নতুন ভিসা ইস্যু করেছিল সৌদি আরব। এবং এই ভিসাগুলো বাতিল হয়ে গেছে ব্যবহার না করার জন্য। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, এদের সবাইকে নতুন করে ভিসা দেয়া হবে। ১লা অক্টোবর থেকে সপ্তাহে মোট ২০টি ফ্লাইট চালু হবে জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে সৌদি এয়ারলাইন্সের ১০টি এবং বিমানের ১০টি। আমাদের সমস্যা যা আছে সেটি কূটনীতিকদের জানিয়েছি। এই কথাগুলো তাদের সরকারের কাছে যাবে। সেটার পরে ফলাফল কী হবে জানা যাবে। কিন্তু সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ আশাবাদী জানিয়ে তিনি বলেন, সবসময় বিকল্প চিন্তা করতে হয়। আমি আশা করলাম, কিন্তু হলো না, তখন বিকল্প কী সেটি ভাবতে হবে। বিকল্প পরিকল্পনা করে রাখতে হয়। আমরা যদি একটি নিয়ে বসে থাকি এবং সেটি যদি না হয় তবে আমরা কোনোদিন শান্তিতে থাকবো না। তবে শেষ বেলায়ও ভালো ফল পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, আশা করি ব্রিফিংয়ের পর দেশগুলোর কাছ থেকে ভালো সাড়া পাবো। ড. মোমেন জানান, ব্রিফিংয়ে শ্রমিকদের সমস্যার বিষয়গুলো সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য দেশগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে