কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বাংলাদেশও পাবে’

মানবজমিন প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেছেন, অক্সফোর্ডের উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহার উপযোগী হওয়ার পর তা বাংলাদেশও পাবে। তবে বৃটেনের ওই ভ্যাকসিনের কোনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাংলাদেশে হবে না। বুধবার কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতি ডিকাব-এর ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম ডিকাব টক-এ এক প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার ডিকসন এ কথা বলেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আঙ্গুর নাহার মন্টি। সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমানসহ সংগঠনের সদস্য এবং কূটনৈতিক বিটের রিপোর্টাররা ভার্চ্যুয়াল ওই আয়োজনে অংশ নেন। মতবিনিময়ধর্মী ওই অনুষ্ঠানে করোনার ভ্যাকসিন প্রসঙ্গ ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বৃটেনের সহায়তাসহ সম-সাময়িক বিষয়াদি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন বৃটিশ দূত। চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বৃটিশ ভিসা পেতে কোনো বাধা আছে কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, না, তার (বেগম জিয়ার) ভিসা পেতে বৃটেনের দিক থেকে কোনো ধরনের আপত্তি নেই বরং তাকে চিকিৎসার সুযোগ করে দিতে পারলে আমরা খুশি হবো। কারণ সেখানে তার পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। তবে ভিসার জন্য তাকে আবেদন করতে হবে। তিনি চিকিৎসা নিতে চাইলে আমরা ব্যবস্থা করে দিতে পারি। অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তির শর্তানুযায়ী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চাইলেই বিদেশে যেতে পারবেন না। এ জন্য তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। ডিকাব টকে বৃটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশ সেই অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, তাকে ভিসা দিতে আমরা সানন্দে রাজি।বৃটিশ ভ্যাকসিন প্রসঙ্গ: ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত ডিকাব টকে করোনা ঠেকাতে বৃটেনের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন প্রাপ্তি বিষয়ে একাধিক প্রশ্নের। জবাবে বৃটিশ দূত বলেন, সব দেশে ভ্যাকসিনের সমান প্রাপ্যতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে বৃটেন। চলমান জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখন তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। দ্রুত বিতরণের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইতিমধ্যে এ ভ্যাকসিনের লাখ লাখ ডোজ প্রস্তুত করতে শুরু করেছে। স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ১০০ কোটি ডোজ সরবরাহের জন্য তারা ভারতের একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছেছে।মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে বৃটেন: ওদিকে বৃটিশ দূত ডিকসন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বৃটেন তার তৎপরতা অব্যাহত রাখবে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ একই মনোভাবসম্পন্ন দেশগুলোর সঙ্গে বৃটেন কাজ করবে জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, মিয়ানমার সরকার ও রোহিঙ্গা সমস্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা হবে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না করলে মিয়ানমার একটি স্বাভাবিক দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নভেম্বরে মিয়ানমারের নির্বাচনের পরে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে আশা করে বৃটিশ দূত বলেন, আমরা রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের জন্য দায়বদ্ধতার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে চলমান প্রক্রিয়া সমর্থন করি। মিয়ানমারের রাখাইনের পরিস্থিতি খুব বেশি উৎসাহজনক নয় উল্লেখ করে ডিকসন বলেন, তারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যমান ব্যবস্থাকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) চাপের মুখে থাকবে। এটি বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দিয়ে হাইকমিশনার বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যমতো কাজ করছি। নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের আস্থা বাড়াতে সেখানে তাদের নাগরিকত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেন এ কূটনীতিক। বলপূর্বক বাস্তুচ্যুতির কারণে মিয়ানমারের ১১ লাখের বেশি নাগরিক অস্থায়ী আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু তারা এখন মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় না। কারণ মিয়ানমার সরকারের ওপর তাদের বিশ্বাস নেই। ফলে ২০১৮ সালের নভেম্বরে এবং ২০১৯ সালের আগস্টে প্রত্যাবাসনের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের সঙ্গে পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বৃটিশ দূত ডিকাব টকে বলেন, জলবায়ু সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পাশে থাকা ছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক আরো গভীর করার প্রয়াস চালাচ্ছে বৃটেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত