কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চট্টগ্রামে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে আইসোলেশন সেন্টার

মানবজমিন প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৫:৪৪

যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর শঙ্কায় প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ঠিক তখনেই চট্টগ্রামে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বেসরকারিভাবে গড়ে উঠা আইসোলেশন সেন্টার ও ফিল্ড হাসপাতালগুলো।রোগী শূন্যতা ও আর্থিক সংকটে ইতিমধ্যে ৪টি আইসোলেশন সেন্টার বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে গড়ে উঠা ফিল্ড হাসপাতালও, যা অপ্রত্যাশীত বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিভাগ চট্টগ্রামের পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির ও চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি।শেখ ফজলে রাব্বি জানান, করোনা প্রাদুর্ভাবের পর গত ৫ মাসে চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশন ও বেসরকারি উদ্যোগে একটি ফিল্ড হাসপাতাল এবং ৬টি আইসোলেশন সেন্টার গড়ে উঠে। এর মধ্যে ফিল্ড হাসপাতাল ও ৪টি আইসোলেশন সেন্টার ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য ৩টি আইসোলেশন সেন্টারও ধুকছে। তিনি জানান, গত ২৮শে সেপ্টেম্বর সর্বশেষ চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত মুক্তি আইসোলেশন সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। নগরীর বাকলিয়া এলাকার তুলাতলিতে ওয়েডিং পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে ৭০ শয্যার মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টারটির যাত্রা শুরু হয় গত ২৭শে জুন। ৮ জন ডাক্তার, ১৬ জন নার্স, ৮ জন ওয়ার্ড বয়, ২ জন আয়া, ২ জন ক্লিনার ও ৪ জন সিকিউরিটি গার্ড নিয়ে চালু করা হয় আইসোলেশন সেন্টারটি। মুক্তির সমন্বয়ক ইফতেখার কামাল খান জানান, গত দুইদিন ধরে আইসোলেশন সেন্টারে কোনো রোগী নেই। সর্বশেষ দুইজন রোগী ভর্তি ছিলেন। তারাও ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাই আইসোলেশন সেন্টারটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।এর আগে হালিশহর ওয়াপদা মোড়ে প্রিন্স অব চিটাগাং নামের কমিউনিটি সেন্টারে প্রতিষ্ঠিত করোনা আইসোলেশন সেন্টার, চট্টগ্রাম নামে ১০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারটিও ১৫ই সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়। হাসপাতালটির উদ্যোক্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কমিউনিটি সেন্টারটির মালিকের সঙ্গে আমাদের তিন মাসের চুক্তি ছিল। এর মধ্যে তিন মাসের বেশি সময় অতিক্রম করেছি। তাছাড়া আইসোলেশন সেন্টার পরিচালনার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তাও নেই। তাই বাধ্য হয়ে আইসোলেশন সেন্টারটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হল সেন্টারে চালু হওয়া সিটি করপোরেশন আইসোলেশন সেন্টারটিও বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে সেটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে চালু করা হয়। এর আগে করোনা রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার্থে পতেঙ্গায় একটি স্কুলে গড়ে তোলা পতেঙ্গা-ইপিজেড আইসোলেশ সেন্টারটিও বন্ধ করে দেয়া হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হোসেন আহম্মদের উদ্যোগে ৫০ শয্যার এ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়। ডা. হোসেন আহম্মদ বলেন, সেন্টারটিতে তেমন রোগী নেই। রোগী না থাকলেও আনুষঙ্গিক ব্যয় হচ্ছে। ব্যয় কমাতে ২০শে সেপ্টেম্বর থেকে সেন্টারটি বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরিচালনা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর আগে রোগীশূন্যতা ও আর্থিক সংকটে বন্ধ করে দেয়া হয় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে গড়ে ওঠা প্রথম করোনা ফিল্ড হাসপাতাল। এর পর মানাহিল নার্চার ফিল্ড হাসাপাতালের করোনা ওয়ার্ডও বন্ধ করে দেয়া হয়। করোনাকালে প্রথম থেকেই মরদেহ দাফন ও সৎকার কাজের জন্য স্বেচ্ছায় নিয়োজিত মানাহিল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই ফিল্ড হাসপাতালটি গড়ে তোলা হয়। হাসপাতালটির সিইও মাওলানা ফরিদ উদ্দিন বলেন, এখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি নেই। তাই আমরা হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ড বন্ধ রেখেছি। হাসপাতালে সাধারণ ওয়ার্ড তৈরি করে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। স্বাস্থ্য বিভাগ চট্টগ্রামের পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির এ প্রসঙ্গে বলেন, আসন্ন শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এই সময়ের জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর মতো সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও প্রস্তুতি নেয়া দরকার। এ বিষয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত