জনপ্রত্যাশাগুলো প্রত্যাশা দমিত হওয়ার অভিশাপ
কভিড-১৯ মহামারীর আগে পর্যন্ত উন্নয়নশীল বিশ্বের অনেক মানুষ নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভালো অনুভব করেছিল। সার্বিকভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলো ২০০৯-১০ সালের আর্থিক মন্দা থেকে দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। বিশেষত আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার অনেক দেশ চীনের বেড়ে চলা তেল, খনিজ সম্পদ এবং কৃষি পণ্যের চাহিদা থেকে সুফল উপভোগ করেছিল। ফলে উল্লিখিত দেশগুলোয় জনপ্রত্যাশাগুলো ক্রমেই বাড়ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে অবস্থা তেমনটি নয় -যেখানে ১৯৮০ এর দশক থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল নতুন ধনী ও মধ্যবিত্তের কাছে প্রবাহিত হয়ে এসেছে এবং দরিদ্র ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে। এসব প্রবণতার জন্য অনেক বিশ্লেষকই দেশটিতে জনতুষ্টবাদী ডানপন্থীদের উত্থান এবং ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনকে দায়ী করেন। সেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণী একদিকে কিছুটা সংকুচিত হয়েছে, অন্যদিকে শ্রমজীবী শ্রেণীর একদল শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী হতাশায় নিপতিত হয়েছে। বিশ্বায়ন-সৃষ্ট কর্মচ্যুতিতে অনেকেই হতাশ হলেও আফিম সেবনের মহামারী (ওপিওয়েড প্যানডেমিক), অপ্রতুল-অর্থায়িত সামাজিক কর্মসূচি, এমনকি খোদ মুনাফা-চালিত পুঁজিবাদের মুখে সরকার বিষয়টি অবহেলা করেছে। (কৃষ্ণাঙ্গ ও হিসপানিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে শ্রমজীবী শ্রেণীর বিপর্যয় অদ্ভূতভাবে ব্যতিক্রম, যারা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অধিক আশাবাদী হয়েছে, যেহেতু তারা শ্রমজীবী শ্রেণীভুক্ত শ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে ব্যবধান অনেক কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে)।
- ট্যাগ:
- অন্যান্য সংবাদ