কোভিড-১৯ পরবর্তী পর্যটন: বাংলাদেশের অর্থনীতির সেরা পেনাল্টি শুট..
কোভিড-১৯ বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। এই বদল হওয়া অব্যাহত থাকবে দীর্ঘসময় ধরে। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ব-পর্যটনেও এর প্রভাব অনস্বীকার্য। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে ৫টি খাত ব্যাপকভাবে এবং বহুমাত্রিকতা নিয়ে আবির্ভূত হবে এবং অর্থনীতি ও সমাজজীবনে গতির সঞ্চার করবে। উল্লেখিত ৫টি খাতের একটি হচ্ছে ডোমেস্টিক ট্যুরিজম বা অভ্যন্তরীণ পর্যটন। এখানে হাতেগোনা যে দেশগুলোর সফল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি তারমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবও তার বিশেষ বার্তায় বলেছেন পর্যটন হবে কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে ঘুরে দাঁড়ানোর অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। উল্লেখ্য পর্যটনের মাধ্যমে সাফল্যলাভের সম্ভাবনাময় সফল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম হওয়ার কারণ বহুবিধ। পর্যটন সম্ভাবনা বিবেচনায় বাংলাদেশকে বলা হয় ‘ইউনিক ডেল্টা অফ সেভেন টিএ (7TA or Seven Tourist Attractions)। এই সেভেন টিএ হচ্ছে নদী, সমুদ্র, পাহাড়, বন, ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি, ঋতু বৈচিত্র্য এবং আতিথেয়তা। অর্থাৎ কোনো স্থানে বা কোনো দেশে এই সেভেন টিএ-এর একটি যদি উপস্থিত থাকে পর্যটনের জন্য তাকে বলা হয় GOOD, যদি দুইটি থাকে তাকে বলা হয় BETTER , আর যদি দুইয়ের অধিক থাকে তবে বলা হয় BEST। সেই বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে BEST +++।