কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কসবা-আখাউড়ায় স্বচ্ছ কমিটি চায় যুবদল ও ছাত্রদল

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় যুবদল ও ছাত্রদলের কমিটি স্বচ্ছতার সঙ্গে করার দাবি উঠেছে। দুই উপজেলায় বিএনপি’র এসব অঙ্গ সংগঠনের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কোন্দল-গ্রুপিং। নিজের লোক বলে যাকে তাকে পদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পক্ষের বিরুদ্ধে। আর এ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে। এর আগেও যুবদলের কমিটি গঠনে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছিলো। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছিলো তখন। দলীয় সূত্র জানায়, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে সারা দেশে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি  ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু হলে এই দুই উপজেলার কমিটি নিয়ে আগের মতোই তৎপর হয়ে উঠেছে একটি পক্ষ। যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিম গত ৪ঠা ও ৫ই মার্চ কসবা ও আখাউড়া সফর করেন। এ সময় সংগঠনের বর্তমান অবস্থার  খোঁজখবর নেয়া ছাড়াও যুবদলের নতুন কমিটিতে আসতে আগ্রহীদের রাজনৈতিক বায়োডাটা কেন্দ্রে প্রেরণের নির্দেশ দেন তারা। এরপর গত ২৪শে আগস্ট ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয় অফিসে ডেকে নিয়ে আগ্রহী প্রার্থীদের মৌখিক বক্তব্য শুনেন টিমের সদস্যরা। ওই সময় অচিরেই যুবদলের আখাউড়া ও কসবা উপজেলা ও পৌর ইউনিটের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। একইভাবে ২০১৩ সালে গঠিত ছাত্রদলের উপজেলা ও পৌর কমিটি  ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং যাচাই বাছাই করার জন্য কেন্দ্র থেকে ছাত্রদলের আলাদা টিম গঠন করা হয়। গত ২৬শে জানুয়ারি ওই টিমও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সফর করে এবং সবক’টি উপজেলায় ছাত্রদলের পদ প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। অভিযোগ এরপর থেকেই স্থানীয় বিএনপি’র রাজনীতির নতুন মুখ কবির আহমেদ ভূঁইয়া এই দুই উপজেলায় যুবদল ও ছাত্রদলের কমিটি নিজের লোকজনদের দিয়ে করতে তৎপর হন। এ দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ নির্বাচনী আসনটিতে বিএনপি  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমান ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতা নাসির উদ্দিন হাজারী বিএনপি’র নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তাদের বিপরীতে বছর দেড়েক আগে মাঠে দাঁড়িয়েছেন কবির আহমেদ  ও আখাউড়া বিএনপি’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুসলিম উদ্দিন। মুসলিম উদ্দিন গত সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন নিয়ে মাঠে এলেও পরে আইনি জটিলতায় তার মনোনয়ন টিকেনি। ফলে এ আসনে বিএনপি’র কোনো প্রার্থী ছিল না।  জানা যায়, ২০১৩ সালে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছিল। এরপর গত বছরের ১২ই জুলাই যুবদলের ওই কমিটি ভেঙে দিয়ে ২১ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। যাতে আগের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ২ জনের ঠাঁই হয় মাত্র। বাদবাকি যাদের এই কমিটিতে রাখা হয় তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা না থাকারই অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় ক্ষোভের। ১৩ মাসে এই কমিটি সাংগঠনিক তেমন কোনো তৎপরতাও দেখাতে পারেনি। কসবা উপজেলা যুবদলের সর্বশেষ আহ্বায়ক কমিটি হয় ২০১৯ সালের ২৩শে জুলাই। অভিযোগ কবির তার অনুগতদের দিয়েই এসব কমিটি করেছেন। কসবা যুবদলের ২০১৭ সালে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ খন্দকার বলেন, আমাদের এখানে যুবদল ও ছাত্রদলে পদপ্রার্থীরা কেন্দ্রে সাক্ষাৎকার দিয়ে এসেছেন। কিন্তু এখানে যারা নির্যাতিত, ১০/১৫টি করে মামলার আসামি হয়েছেন, ৪/৫ দফা জেল খেটেছেন তাদের পদ পাওয়া অনিশ্চিত। যারা কবিরের জয়গান করবে তাদের পদ দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। মূলত সে যাদের দিয়ে কমিটি করতে চাচ্ছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের এজেন্ট। তিনি আরো বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত  চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সহকারী আব্দুর রহমান সানি কবিরের ছোট ভাই। সে কারণে কেন্দ্র এবং জেলার নেতাদের চাপ দেয়া হচ্ছে তার লোকদের নিয়ে করা কমিটি অনুমোদন দিতে। আখাউড়া পৌর বিএনপি’র সভাপতি মো. বাহার মিয়া বলেন, যুবদল ও ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে দু’গ্রুপই তৎপর। ১৯৮০ সাল থেকে রাজনীতি করি। দলের স্বার্থেই কাজ করি। দলের মঙ্গল চাইছি সবসময়। আমরা চাই দল ঐক্যবদ্ধ থাকুক। যে নেতৃত্ব পাওয়ার যোগ্য তাকেই যেন নেতৃত্ব দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, আখাউড়া বিএনপি’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুসলিম ভাইকে কতোবার যে ফোন দিয়েছি, বলেছি আসেন মিলেমিশে রাজনীতি করি। কিন্তু তিনি আসেন না। এর আগে দলের স্থানীয় রাজনীতিতে কবির আহমেদ ভূঁইয়া ও তার ভাইয়ের হস্তক্ষেপ করা নিয়ে গত বছর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন এই দুই উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। এতে কবির আহমেদ ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন বলে উল্লেখ করা হয়। এর প্রমাণস্বরূপ ওই সময়ে জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে আখাউড়া ছাত্রলীগের অনুমোদিত কমিটির একটি কপি দেয়া হয়। পূর্বে তিনি কখনো বিএনপি’র রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না বলেও উল্লেখ করা হয়। ছোট ভাই বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রহমান সানিকে দিয়ে গত বছরের ১২ই জুলাই কেন্দ্রীয় যুবদল নেতাদের টেলিফোনে চাপ প্রয়োগ করে আখাউড়া উপজেলা যুবদলের ২১ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করান কবির। এ বিষয়ে কবির আহমেদ ভূঁইয়ার বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে ফোন করলে তিনি পরিচয় জেনে ফোন বন্ধ করে দেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত