তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপরে
নীলফামারীর ডিমলায় গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্ট বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত বুধবার সকাল থেকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বাড়তে শুরু করলে সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমা অতিক্রম করে। রাত ৯টায় তা আরো বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ সূত্র জানায়, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে গত বুধবার সকাল থেকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার অতিক্রম করে ১২ সেন্টিমিটার (৫২ দশমিক ৬০) সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রাত ৯টায় তা আরো ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল । তিস্তার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার নদীবেষ্টিত খগাখড়িবাড়ী, পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপনী, পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের প্রায় ৮ হাজার পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামা ভেণ্ডাবাড়ী ও ফরেস্টের চরের ৫ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কোথাও হাঁটু থেকে কোমরপানি তলিয়ে গেছে এসব পরিবারের বসতভিটা। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় আমার ইউনিয়নের আটটি গ্রাম বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে। এসব গ্রামের পরিবারগুলোকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদীবেষ্টিত বন্যা এলাকা পরিদর্শন করেছেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়।ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নদীর পানি বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজের সবক’টি জলকপাট (৪৪) খুলে রাখা হয়েছে।
- ট্যাগ:
- অন্যান্য সংবাদ