কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মেঘনার জোয়ারে কমলনগর রামগতির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

গত তিন দিনে মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। সাগরে লঘুচাপের ফলের গত শনিবার বিকাল থেকে মেঘনা নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চলীয় এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে থাকাসহ চরম ক্ষতির মধ্যে পড়েছে কৃষক। বার বার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে আউস, আমনের বীজতলা ও রোপা আমন ক্ষেত। গত মাস থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত তিনবার মেঘনার জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। সংকট দেখা দিয়েছে গো-খাদ্য’রও।  এদিকে এসব এলাকায় রান্নার চুলা পানিতে নষ্ট হওয়ায় লোকজন চরম খাদ্য সংকটে ভুগছেন সাধারণ মানুষ। গত চারদিন থেকে পানিবন্দি মানুষগুলো অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। আবার কেউ কেউ টিনের জার দিয়ে চুলা বানিয়ে খাবার তৈরি করে কোনো মতে দিনাতিপাত করছেন। ওইসব পানিবন্দি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।জানা গেছে, সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে গত শনিবার বিকাল থেকে মেঘনার জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ থেকে ছয় ফুট বেড়ে যায়। বেড়িবাঁধ না থাকায় এতে নদীর তীরবর্তী কমলনগর উপজেলার মতিরহাট, নাছিরগঞ্জ, কাদির পণ্ডিতেরহাট, চরজগবন্ধু, মাতব্বরহাট, লুধুয়া ফলকন ও পাটারীরহাট এবং রামগতি উপজেলার বালুরচর, সুজনগ্রাম, জনতা বাজার, মুন্সীরহাট, সেবাগ্রাম, চরআলগী, বড়খেরী, চরগাজী, চরগজারিয়া, চর মুজাম্মেল ও তেলিরচর এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। পানিতে প্লাবিত হয় মতিরহাট, নাছিরগঞ্জ, কাদির পণ্ডিতেরহাট, পাটারীরহাট, লুধুয়া বাঘারহাট, মুন্সীরহাট, জনতা বাজার ও চেয়ারম্যান বাজার। এতে দোকানঘরের মালামাল নষ্ট হয়ে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।  কমলনগরের চরকালকিনি ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার সাইফুল্লাহ জানান, জোয়ারে তার ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এখনো তার ইউনিয়নে ৪-৫ ফুট পানি রয়েছে। এর আগের জোয়ারে তার ইউনিয়নের পুল-কালভার্ট ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী জায়গায় সাঁকো ব্যবহার করে মানুষের চলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু গত তিন-চার দিনের জোয়ারে ওই সাঁকোগুলো ভেঙে তছনছ করে ফেলেছে। বর্তমানে পানিবন্দি মানুষগুলোর কষ্টের শেষ নেই। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের কোনো বরাদ্দ না থাকায় বিপাকে রয়েছেন তারা। কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবারক হোসেন জানান, পানিবন্দি মানুষগুলোর খোঁজ-খবর প্রতিনিয়ত নেয়া হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার মানুষগুলোর কষ্টের কথা আমাদের ঊর্ধ্বতন মহলে পৌঁছানো হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে