দিনে শুটিং, রাতে পরিপাটি সংসার
বুড়িগঙ্গার পাশঘেঁষা আলমগঞ্জের একটি পুরোনো বাড়ি। সরু একটি গলি ধরে এর দোতলায় উঠতে হয়। পাশাপাশি দুজন ওই গলি দিয়ে যেতে পারে না। দোতলায় উঠতেই একটা বড়সড় বারান্দার দেখা মিলল। বারান্দার ওপাশেই বুড়িগঙ্গা নদী। একটু এগোতেই বাঁ দিকে পাওয়া গেল বড় একটি রান্নাঘর, আর ডানে একটি দরজা। সেখানেই মুন্নি খাতুনের সঙ্গে পরিচয়। তাঁর সাজানো–গোছানো ঘর দেখে দ্বিধায় পড়তে হয়।
অগত্যা প্রশ্ন করা, এই বাড়ির কোথায় শুটিং হয়? মুন্নি খাতুন নির্বিকার চিত্তে বললেন, এখানেই। কৌতূহল নিয়ে আবার জানতে চাইলাম, ‘তাহলে আপনারা থাকেন কোথায়?’ আবার সাদামাটা ভঙ্গিতে জবাব দিলেন তিনি, ‘শুটিং থাকলে আমরা পুরো বাড়ি ছেড়ে দিয়ে সবাই অন্য একটি রুমে চলে যাই।’ এভাবেই বাড়তি আয়ের জন্য সাজানো-গোছানো বাড়িকে শুটিংয়ের জন্য নিয়মিত ভাড়া দিয়ে আসছেন মুন্নি খাতুন। আলমগঞ্জের এই বাড়ি এখন ‘দারোগার শুটিংবাড়ি’ নামে পরিচিত।