কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তাড়াশে ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া সরকারি জমি বেদখল

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের সরকার প্রদত্ত ভূমি জবরদখল হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বারুহাস গ্রামের ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধা মরহুম গাজী আলী আশরাফ খানের স্ত্রী আলতাফুননেছা ও দিঘরীয়া গ্রামের গাজী সিদ্দিকুর রহমান ২১-৪-২০১৪ তারিখে ১৩৯৬ এবং ১৩৯৭নং দলিল মূলে সরকার কর্তৃক প্রাপ্ত হয়ে ১৬-০৭-২০১৪ তারিখে খারিজ করে হালনাগাদ সরকারের রাজস্ব প্রদান করেন। কিন্তু সরকারি বরাদ্দ অমান্য করে সড়াবাড়ী গ্রামের মৃত খন্দকার আবু বক্কারের ছেলে আরিফুল ইসলাম ও তার দুই ভাই খন্দকার আলাল উদ্দিন ও খন্দকার দুলাল উদ্দিন জোর করে দখলে নিয়েছে। সরকারের বরাদ্দকৃত জমি হালনাগাদ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার জমি ভোগ করতে পারছেন না। এই বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর অভিযোগ দিয়ে কোনো প্রতিকার না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার স্বজনরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করলে তিনি সহকারী কমিশনার ভূমিকে বিষয়টি দেখার জন্য আদেশ দেন। মুক্তিযোদ্ধার স্বজনরা তদন্তের জন্য বারবার সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয়ে ধরনা ধরে অনেক কাকুতি-মিনতি করার পর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুরোধে তিনি তদন্ত না করে কানুনগো ও বস্তুল তহশিলদারকে তদন্তে পাঠান। তদন্তকালে কানুনগো ও তহশীলদার উভয়পক্ষকে কাগজপত্র দৃষ্টে বিবাদীকে নালিশি ভূমিতে চাষাবাদ করতে নিষেধ করেন। কে শোনে কার নিষেধ। সরকারি নিষেধ অমান্য করে আরিফুল ইসলাম ও তার দুই ভাই খন্দকার আলাল উদ্দিন ও খন্দকার দুলাল উদ্দিন জোর করে জমিতে ধানের চারা রোপণ করছেন। আমরা এই জমি দেখতে গলে তারাই আবার থানাতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। জমি না পাওয়ার ক্ষোভে ও হয়রানি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছেন ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধার পরিজনবর্গ।বর্তমানে সরকারের বরাদ্দকৃত জমি দলিল মূলে ও সরকারি রাজস্ব দিয়েও ভোগ করতে না পারায় মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান ক্ষোভ করে বলেন, ৯ মাস যুদ্ধ করে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করে যদি মুক্তিযোদ্ধার এই দশা হয় তাহলে এই দেশের মানুষ দাঁড়াবে কোথায়। আমরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে এই দেশ স্বাধীন করেছি কিন্তু এখনো দেশ স্বাধীন হয়নি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমরা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে যেতেও প্রস্তুত আছি। তাড়াশ থানা অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তবে এ বিষয়টি সহকারী কামশনার ভূমি দেখবেন। আইনশৃঙ্খলার যেন অবনতি না হয় সে জন্য পুলিশ পাঠিয়ে উভয়পক্ষকে জমিতে না যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছে।এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওবায়দুল্লাহ’র সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে