রংপুরে দুই বোনকে হত্যা নেপথ্যে প্রেম

রংপুর নগরীর মধ্য গণেশপুর এলাকায় চাচাতো দুই বোনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় নিহত জান্নাতুল মাওয়ার বাবা মমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ মাহফুজার রহমান রিফাত (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। রংপুর মেট্রোপলিটন উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মারুফ হোসেন সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, শুক্রবার দুপুরে গনেশপুর এলাকা থেকে সুমাইয়া আক্তার মীমের (১৭) মরদেহ ঘরের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় এবং তার চাচাতো বোন জান্নাতুল মাওয়ার (১৪) মরদেহ মেঝেতে পরে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার সকালে নিহত জান্নাতুল মাওয়ার বাবা কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। বিভিন্ন আলামত জব্দসহ শুক্রবার সন্ধ্যার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত মীম ও মাওয়ার পরিবারের লোকজনদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি ওই রাতেই নগরীর উত্তর বাবুখাঁ থেকে মাহফুজার রহমান রিফাত নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞসাবাদে রিফাত হত্যার দায় স্বীকার করে বলে পুলিশ জানায়।  তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, আটক রিফাত নগরীর মুলাটোল মদিনাতুল উলুম কামিল এম.এ মাদরাসার আলিম প্রথমবর্ষের ছাত্র। বাবু খাঁ এলাকার এমদাদুল ইসলামের পুত্র। নিহত মীমও ওই মাদরাসা থেকে এবারে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়। রিফাতের সঙ্গে নিহত মীমের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। প্রেমের সূত্র ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে, ময়না তদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে নিহত দুই বোনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জান্নাতুল মাওয়া স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। রংপুর মেট্রোপলিটন উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মারুফ হোসেন  জানান, বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করেছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত ঘটনা খুব শিগগিরই জানানো হবে। গ্রেপ্তারকৃত যুবক হত্যা বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।