কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জানাজায় লাখো মানুষ

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৫৬

.tdi_2_c53.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_c53.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});একসময় আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসার ছাত্র ছিলেন। সেই মাদরাসাতেই একটানা ৩৪ বছর মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গতকাল শনিবার প্রিয় সেই হাটহাজারী আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসা প্রাঙ্গণে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন দেশের কওমি অঙ্গনের শীর্ষ আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। এর আগে দুপুর দুইটায় শাহ আহমদ শফীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নামে। ভিড়ের কারণে তার মরদেহ ডাকবাংলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই নামাজে জানাজা পরিচালিত হয়। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন তার বড় ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ মাদানি। শতবর্ষী এই আলেমের জানাজায় এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার সহকর্মী, ছাত্র, ভক্ত ও অনুসারীসহ ধর্মপ্রাণ মানুষ। হাটহাজারী মাদ্রাসার আশপাশ লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। জানাজায় দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া স্থানীয় এমপি থেকে নিয়ে র‌্যাব, পুলিশ ও প্রশাসনের লোকেরাও ছিলেন। শনিবার ভোর থেকেই রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, সাতকানিয়া ও পটিয়াসহ নানা উপজেলা থেকে আসতে থাকেন তার অনুসারীরা। ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও মানুষ আসে। শুক্রবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাটহাজারীতে ছুটে আসেন লাখ লাখ মানুষ। ভিড়ের কারণে যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হেঁটেই দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার দিকে রওনা হন তারা। মরদেহ পৌঁছানোর আগেই পুরো হাটহাজারী এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এসময় হাটহাজারীর প্রবেশ পথে যান চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয় আইনশৃক্সখলা বাহিনীর তৎপরতা। মোতায়েন করা হয় ১০ প্লাটুন বিজিবি। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়-আগত মুসল্লিদের প্রচণ্ড গরমে পানির পিপাসা মেটাতে বিভিন্ন সংগঠন স্বেচ্ছায় পানি খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। এমনকি অনেককে ক্ষুধার্থ মুসল্লিদের বিনামূল্যে খাবাব পরিবেশন করতে দেখা গেছে। এসময় মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে অনেকেই অস্থায়ী খাদ্যের দোকান খুলে বসে। এছাড়া মাদ্রাসার ভিতরের মাঠে জানাযায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হাওয়ায় চট্টগ্রাম-নাজিরহাট ও হাটহাজারী-রাউজান মহাসড়ক স্থানীয় ডাক বাংলা সড়ক, হাটহাজারী রেলস্টেশন সড়ক, ফটিকা কামাল পাড়া, কাচাড়ী সড়ক, মাদ্রাসা সংলগ্ন হাতিনার দীঘি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাযায় অংশগ্রহণ করতে মুসল্লিরা দাঁড়িয়ে পড়েন। জানাযায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিরা যাতে সঠিকভাবে জানাযার নামাজ আদায় করতে পারেন সেজন্য মেডিকেল গেইট, বাসস্টেশন, কাচারী সড়ক, কলেজ গেইট প্রভৃতি এলাকায় একশ জোড়া মাইক লাগানো হয়। এদিকে জানাযার পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ও হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজি ও মাওলানা মোহাম্মদ জুনায়েদ। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। এদিন রাত ১১টার দিকে গেন্ডারিয়ার আসগর আলী হাসপাতাল থেকে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদে আল্লামা শফীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গোসল এবং কাফন শেষে ভক্ত অনুসারীদের তার মরদেহ দেখার সুযোগ দেওয়া হয়। ১০৪ বছর বয়সী আল্লামা শফী হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন।.tdi_3_d63.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_d63.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে