কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তবারক : পঁচাত্তর পরবর্তী প্রথম শহীদ ছাত্রনেতা

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৪:৪৪

.tdi_2_195.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_195.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});১৯৮১ সালে আমি তখন দশম শ্রেণির ছাত্র। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কদম মোবারক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করি। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এম.ই.এস স্কুলে পড়ি। স্কুলটি নাছির ভাইয়ের বাড়ির বিপরীতে অবস্থিত। হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার কিছু দিন পর থেকে নাছির ভাইয়ের কথা শুনে আসছি। ’৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নতুনভাবে রাজনীতি করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। বাংলাদেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসগুলো নেত্রীর আগমনী বার্তায় মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়ার মৃত্যুর আগপর্যন্ত বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেখা-পড়ার ছেয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল বেশি। প্রশাসনের ছত্র-ছায়ায় থেকে চর দখলের মত ক্যাম্পাস দখল করা ছিল ইসলামী ছাত্র শিবির ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাদের প্রতিদিনের রুটিন। ৫ আগস্ট ’২০ এশার নামাজের পর নাছির ভাইয়ের বাসায় দীর্ঘক্ষণ ’৮০-৯০ দশকের ছাত্র রাজনীতি নিয়ে স্মৃতি চারণমূলক ব্যাপক কথা-বার্তারা হয়। দিনটি ছিল নাছির ভাইয়ের মেয়র হিসাবে ৫ম বর্ষপূর্তির শেষ দিন। সেখানে উঠে আসে শহীদ তবারকের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। ’৮১ সালের ২০ সেপ্টেম্ব সকাল বেলা চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মিছিল হওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে মহানগর ছাত্রলীগ। ঐ সময় নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন- সফর আলী, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন- শেখ মোহাম্মদ, আ.জ.ম নাছির উদ্দীন ঐ কমিটির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক। মিছিলটি কলেজের প্রধান ফটক দিয়ে ছাত্র আবাসিক হলের সামনে আসতেই শিবিরের ক্যাডাররা মিছিলের উপর হামলা হয়। প্রথমে তারা আ.জ.ম নাছিরকে বেদড়ক লাঠি পেঠা করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন, এরপর হামলা করে সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের এজিএস মেধাবী ছাত্রনেতা তবারকের উপর। মৃত্যু নিশ্চিত করে তবারকের লাশটি ঐ সময় ক্যাম্পাসে রেখে তারা পালিয়ে যায়। নাছির ভাই কলেজের পূর্ব গেইট হয়ে সিরাজদ্দৌলা রোডে তাঁর এক নিকট আত্মীয়র বাসায় আশ্রয় নেন। নজির আহমদ চৌধুরী রোডে মুহাদ্দেস ভিলায় সেই সময় নেতা-কর্মীদের ভিড় হতে লাগল। এক সময় খবর এল নাছির ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তখন এম.ই.এস স্কুলের গেইটে নাছির ভাইকে দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। নাছির ভাইয়ের মা ছেলের জন্য উন্মাদ প্রায় ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ নাছির ভাই প্রাণে বেঁচে যায়। ’৮০-৯০ দশক ছাত্রলীগের রাজনীতি করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার ছিল। কারণ সেই সময় অনেক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা হুলিয়া ছিল নিত্য-নৈমত্তিক ব্যাপার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজ, হাজী মহসিন কলেজ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, আগ্রাবাদ সরকারি বাণিজ্য কলেজ, টি.টি.সি. পলিটেকনিক্যাল কলেজ সহ সমস্ত কলেজ ক্যাম্পাসগুলো ছাত্র শিবির এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ধীরে ধীরে নাছির ভাইয়ের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজ-ক্যাম্পাসগুলো ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে আসে। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর তবারক ছিল প্রথম শহীদ ছাত্রনেতা। বর্তমানে ছাত্ররাজনীতির সাথে অতীতের ছাত্র রাজনীতির মাঝে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। নীতি, আদর্শের প্রশ্নে সেই সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছিল আপসহীন। জীবনের মায়া ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির ঝান্ডা উড়িয়ে কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে সংগঠনের ভীত মজবুত করা ছিল নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ঐ সময় এত গ্রুপিং ছিল না। ভোগের চেয়ে ত্যাগের মহিমা ছিল বেশি। ’৮২ সালে এস এস সি পাশ করার পর আমি রাশেদ, আমার চাচাত ভাই সৈয়দুল হক, হারুন (পাথরঘাটা), মোহাম্মদ ফারুক (বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী), চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোশাররফের ছেলে রিদুয়ান, দেব পাহাড়ের জসিম, জাকির, ইডেন তসলিম আরো অনেকে ঐ সময় মহসিন কলেজ ক্যাম্পাসে আড্ডা দিতাম ঐ সময় ক্যাম্পাসে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথে আমাদের মারামারি হলে আমি ও বিদুয়ান গ্রেফতার হই। ’৭৪ এর বিশেষ ক্ষমতা আইনে আমাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। ছাত্রলীগের উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন ও জুলুম-অত্যাচার। শহীদ তবারক আমাদের মাঝে আর কোন দিন ফিরে আসবে না। তাঁর রক্তের সিঁড়ি বেয়ে আজ চট্টগ্রামের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলো ছাত্রলীগের দুর্গে পরিণত হয়েছে। তার নীতি আদর্শ আমাদের চলার পথে পাথেয় হয়ে থাকবে। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে দেশ-দেশের মানুষ ও সংগঠনকে ভালোবাসি তাহলে সকল অপরাজনীতি, অপকর্ম ও সন্ত্রাস থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে- ছাত্রলীগের মূল নীতি শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি ধারাকে অব্যাহত রাখতে পারি তাহলে শহীদ তবারকের আত্মা শান্তি পাবে।লেখক : শ্রম সম্পাদক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ.tdi_3_153.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_153.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত