কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির প্রাপ্তি নিশ্চিত করা গেলে জনস্বাস্থ্য খাত আরো সুদৃঢ় হবে

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৪:৩৮

.tdi_2_bcb.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_bcb.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});চট্টগ্রাম ওয়াসা তার গ্রাহকদের জন্য একটা সুখবর দিয়েছে। খাওয়ার উপযোগী নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং রাতদিন পানি প্রবাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত ‘ওয়াসার লাইনে থাকবে ২৪ ঘণ্টা পানি, খাওয়া যাবে সরাসরি’ শীর্ষক সংবাদে বলা হয়েছে, ‘ট্যাপ থেকে সরাসরি খাওয়ার উপযোগী নিরাপদ পানি সরবরাহ, রাতদিন চব্বিশ ঘণ্টা পানি প্রবাহ নিশ্চিতকরণ এবং সর্বোপরি কোটি কোটি টাকার পানি অপচয় রোধে চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরীর সব পাইপ পাল্টানোসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। পুরো নগরীকে ১০৫টি ব্লকে ভাগ করে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৯টি ব্লকের কাজ শেষ পর্যায়ে। শহরের বাকি এলাকাকে ৪৬টি জোনে ভাগ করে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। এতে ২০২২ সালেই নগরীতে ট্যাপ থেকে সরাসরি পানি খাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। আর ২০২৪ সালে পুরো নগরীতেই নিরাপদ এবং সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। ওয়াসার দায়িত্বশীল একটি সূত্র এই খবর নিশ্চিত করেছে।’ আমরা জানি, বিশুদ্ধ পানি সব ধরনের মানবাধিকারের ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃত। সবার জন্য উন্নত উৎসের পানি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ৬ নম্বরটি সুপেয় পানি নিয়ে, ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ নাগরিকের জন্য যা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ মানুষের আওতার মধ্যে পানির কোনো না কোনো উৎস রয়েছে। কিন্তু এর সবটাই পানযোগ্য নয়। নিরাপদ বা সুপেয় পানি পাচ্ছে শতকরা ৫৬ ভাগ মানুষ। তবে পানির দূষণ হিসেব করলে ৪৪ ভাগ মানুষ নিরাপদ ও সুপেয় পানির আওতার বাইরে আছেন। অন্য একটি জরিপে জানা যায়, পুরোপুরি নিরাপদ পানি পানের সুযোগ এখনও সীমিত। এরপরেও বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আর্সেনিক দূষণ আক্রান্ত মানুষের বসবাস বাংলাদেশে। অগ্রগতি সত্ত্বেও এক কোটি ৯৪ লাখ মানুষ এখনও সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণে থাকা আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছে। এছাড়া পানিতে ম্যাঙ্গানিজ, ক্লোরাইড ও লৌহ দূষণের কারণেও খাওয়ার পানির মান খারাপ থাকে। বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ পানির উৎসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মানের চেয়ে বেশি মাত্রায় ম্যাঙ্গানিজের উপস্থিতি পাওয়া যায়। মলের জীবাণু রয়েছে এমন উৎসের পানি পান করছে ৪১ শতাংশের বেশি মানুষ। এক্ষেত্রে স্বল্প শিক্ষিত নগরবাসী সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জরিপে বলা হয়েছে। শহরাঞ্চলের এসব পরিবারে যে পানি খাওয়া হয় তার এক তৃতীয়াংশেই উচ্চমাত্রার ই-কোলাই ব্যাক্টেরিয়া থাকে, যা ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, উৎস থেকে বাসাবাড়িতে পানি সরবরাহের সময় এতে আরও বেশি ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া চলে যায়। প্রতি পাঁচটি পরিবারের মধ্যে দুটি, অর্থাৎ বাংলাদেশের ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া দূষিত উৎসের পানি পান করে। আবার ঘরের কল বা টিউব-ওয়েলের আশপাশ পরিষ্কার না থাকায় বিভিন্ন অণুজীবযুক্ত পানি পানকারীর সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় নয় কোটি ৯০ লাখ। সারা দেশের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও হাইজিনের অবস্থা ভালো না হওয়ায় সেগুলো থেকেও জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয় এবং তা নবজাতক ও মাতৃ মৃত্যু হার কমানোর অগ্রগতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মসূচি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। পানির অপচয় রোধ, নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং সর্বোপরি রাতে-দিনে পানি দেয়ার লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামবাসী উপকৃত হবে নিঃসন্দেহে। আজাদীতে প্রকাশিত সংবাদে জানানো হয়েছে, প্রথম প্রকল্প বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে এসে দ্বিতীয় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রথম প্রকল্পের সুফল আগামী ২২ সালের জুন নাগাদ পাওয়া যাবে। ২০২৪ সালে পুরো নগরীই নিরাপদ পানির আওতায় চলে আসবে। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য খাতে বেশ উন্নতি হয়েছে। গড় আয়ু বেড়েছে, পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে; নবজাতক ও প্রসূতিদের মৃত্যুর হার কমেছে। বিশুদ্ধ বা নিরাপদ খাওয়ার পানির প্রাপ্তি নিশ্চিত করা গেলে জনস্বাস্থ্য খাত আরো সুদৃঢ় হবে- তাতে কোনো সন্দেহ নেই।.tdi_3_925.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_925.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত