কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনা মোকাবেলায় চবির বহুমুখী তৎপরতা

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৪:৩৭

.tdi_2_3f5.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_3f5.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});করোনার শুরু থেকেই আরটি-পিসিআর মেশিন প্রদান, ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম গঠন, করোনার জিনোম সিকুয়েন্স নিয়ে গবেষণা, চিকিৎসকদের পিপিই প্রদান, দুস্থ-অসহায়দের সহায়তা, সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ এবং করোনা শনাক্তে বিভিন্ন ল্যাবে সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজে সহযোগিতা করে আসছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম ৭ এপ্রিল ফৌজদারহাট বাংলাদেশ ইনস্টিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি) এ নমুনা পরীক্ষা শুরু হলে সেখানে করোনা শনাক্তকরণের কাজে ব্যবহৃত রিয়েল-টাইম পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (আরটি-পিসিআর) মেশিন হস্তান্তর করে চবি। এছাড়া বিআইটিআইডির সাথে করোনা শনাক্তকরণে সমন্বিতভাবে কাজ করেছে চবির একটি টিম। করোনা নিয়ে গবেষণা : করোনার জিন, উৎপত্তিগত বিষয় ও জনসাধারণের সচেতনতার প্রকৃতি এবং তা কার্যকর করার পদ্ধতি নির্ণয়, দেশ ও দেশের সংস্কৃতিকে কিভাবে প্রভাবিত করছে করোনা, তা নিয়ে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. অলক পালের পরিচালনায় গবেষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঝাঁক গবেষক। এক্ষেত্রে ভাইরাসটির অবস্থান ও প্রকোপ নির্ণয়ে ট্র্যাকিং অ্যাপসও তৈরি করেছেন তারা। এ ভাইরাসের জিনগত গঠনে বিভিন্ন রোগীর মধ্যে ভিন্নতা, বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী প্রোটিনের বিভিন্ন গঠন ও ভাইরাসটির উৎপত্তিগত বিশ্লেষণ পরিচালনায় রয়েছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ড. আদনান মান্নান। সম্প্রতি চট্টগ্রামের বিভাগের সকল জেলার করোনা নমুনাগুলো সংগ্রহ করে করোনার জিনোম সিকুয়েন্স নিয়ে গবেষণা করছেন চারজনের একটি টিম। চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইমরানুল হকের পরিচালনায় এ গবেষণায় আরও রয়েছেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এইচ এম আবদুল্লাহ আল মাসুদ এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক। এছাড়াও করোনার নমুনা শনাক্তকরণে কাজ করছেন চবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী। বর্তমানে দেশের সাতটি ল্যাবে নমুনা শনাক্তকরণের কাজে সহায়তা করছেন তারা। এই শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে করোনাযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে কিংবা স্বাভাবিক সর্দি, কাশি হলেই ঘরে বসেই শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব আছে কিনা সেই সম্পর্কে জানতে অ্যাপ তৈরি করেছে চবি ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তিন শিক্ষার্থী। তারা হলেন মমশাদ দিনুরী, আব্দুল্লাহ জুনায়েদ খান ও মাহবুবুর রহমান। সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ : বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী গাউন, মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার ও গ্লাভস প্রদান করা হয় এবং লকডাউন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী, আশপাশের দুস্থ ও অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে ধারাবাহিক ত্রাণ বিতরণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। করোনা মহামারী আকার ধারণ করায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ৮ এপ্রিল ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ ও ত্রাণ তহবিলে এক কোটি টাকার আর্থিক অনুদান দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ল্যাব স্থাপন : চট্টগ্রামে দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলায় চবিতে করোনার নমুনা শনাক্তের জন্য উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। তখনও চবি কর্তৃপক্ষের কাছে তিনটি আরটি-পিসিআর মেশিন ছিল। কিন্তু সুরক্ষিত ল্যাব না থাকায় নমুনা পরীক্ষা শুরু করতে পারেনি তারা। এরপর বায়ো-সেফটি লেভেল ঠিক রেখে জীববিজ্ঞান অনুষদে সেন্টার বায়োলজিক্যাল রিসার্চ সুরক্ষিত ল্যাব গঠন করে ১২ মে নমুনা শনাক্তের অনুমতির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনুমতি পেয়ে ১ জুন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ল্যাবটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ল্যাবটিতে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০০ নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা আছে। এটি প্রতিষ্ঠার ফলে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ফটিকছড়ি, রাউজান, আনোয়ারা এবং রাঙ্গুনিয়াসহ চট্টগ্রামের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য : চবি করোনা টেস্টিং ল্যাবের সদস্য ড. লায়লা খালেদা আঁখি বলেন, করোনা মহামারীর শুরু থেকেই এটা নিয়ে কাজ করছি। চবিতে ল্যাব হওয়ার আগে চমেক ল্যাবে এবং বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজে অংশগ্রহণ করেছি। চবিতে ল্যাব স্থাপনের পর থেকে প্রতিদিন এখানে সময় দিচ্ছি। নিজের দায়বদ্ধতা থেকেই দেশের জন্য এ কাজগুলো করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। ল্যাবের সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া আজাদীকে বলেন, করোনা মহামারীতে চবি প্রশাসন সবসময় চেয়েছে ভালো কিছু করার জন্য। গবেষণা, আরটি-পিসিআর মেশিন প্রদান এবং সুরক্ষার ব্যাপারে সজাগ থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। চট্টগ্রামের মানুষের উপকারের জন্যই চবিতে ল্যাব স্থাপন করেছে। উপাচার্য সবসময় এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে দেখেছেন। ল্যাবে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই সম্পূর্ণ আর্থিক প্রণোদনা ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছেন। এটি একটি আশার দিক। করোনা না যাওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কাজ এবং গবেষণা চলমান থাকবে।.tdi_3_f88.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_f88.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত