কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তিন শতাধিক জেলের দুঃখ একটি স্লুইচগেট

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৪:০৭

.tdi_2_692.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_692.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});মীরসরাইয়ে সাহেরখালী খাল শুকিয়ে যাওয়ায় সাগরে যাতায়াত নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তিন শতাধিক জেলে। খালে পানি না থাকার কারণে সাগর থেকে শিকার করা মাছ সাগর কূলে পচে যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরের পাশ দিয়ে নির্মিতব্য মেরিন ড্রাইভ সড়কে নতুন সাহেরখালী স্লুইচ গেইটের নিচের দিকের সব কয়টি দরজা বন্ধ থাকায় এমন দুর্ভোগ ও লোকসান গুনতে হচ্ছে দরিদ্র জেলেদের। স্লুইচ গেইটের দুয়েকটি দরজা খোলা থাকলে দুর্ভোগ পোহাতে হতো না বলে স্থানীয় জেলেদের দাবি। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি জেলেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন। সাহরেখালী পুরাতন বেড়িবাঁধ থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি প্রায় শুকিয়ে গেছে। জেলেরা কেউ পায়ে হেঁটে মাছ শিকারে সাগরের দিকে যাচ্ছেন আবার কেউ রাতে শিকার করা মাছ কাঁধে বহন করে বিক্রির জন্য বেড়িবাঁধ এলাকা নিয়ে আসছেন। খালে পানি না থাকায় নৌকাগুলো অলস পড়ে আছে। সাগর থেকে কাঁধে বহন করে মাছ নিয়ে আসা জেলে ৬৫ বছর বয়স্ক কৃষ্ণ জলদাস জানান, প্রতিদিন হেঁটে প্রায় তিন-চার কিলোমিটার পথ যাওয়া আসা আর সহ্য হচ্ছে না। সাহেরখালী জেলে পাড়ার দীনেশ জলদাস জানান, সাহেরখালী জলদাস পাড়া, মায়ানী ইউনিয়নের জয়নগর, মির্জানগর এলাকার প্রায় তিন শতাধিক জেলে যুগ যুগ ধরে প্রতিদিন সাহেরখালী খাল দিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে আবার মাছ নিয়ে সাহেরখালী বেড়িবাঁধে ফিরে এসে মাছ বিক্রি করে। কিন্তু সাহেরখালী খাল শুকিয়ে যাওয়ায় সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া আসা করতে জেলেদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মায়ানী ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের জেলে প্রানহরি জলদাস জানান, বঙ্গোপসাগরের পাশ দিয়ে তৈরি হওয়ায় মেরিন ড্রাইভ সড়কে নির্মিত সাহেরখালী স্লুইচ গেইটের নিচের দিকের ৮টি দরজার সব কয়টি বন্ধ থাকার কারণে সাহেরখালী খালে সাগরের জোয়ারের কোন পানি প্রবেশ করতে পারছে না। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পথে কাঁদামাটি থাকায় কাঁধে ভার নিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়া আসা করতে হচ্ছে পথচারীকে। এতে অনেক মাছ সাগর পাড়েই পচে যায়। সাহেরখালী বজেন্দ্র জলদাস জানান, সাহেরখালী খাল দিয়ে সাগর থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে জেলেরা ৪-৫ লাখ টাকার মাছ শিকার করে। স্লুইচ গেইটের ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকলে আমাদের মাছগুলো নষ্ট হতো না। চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে মীরসরাইয়ের দায়িত্বে থাকা উপ সহকারী প্রকৌশলী আনিস হায়দার খান এ সম্পর্কে বলেন, স্লুইচ গেইটটি পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় নিচের অংশের দরজা খোলা যাচ্ছে না। এছাড়া গেইট খোলার ক্যাবলও এখনো লাগানো হয়নি। ক্যাবল না লাগানো পর্যন্ত গেইট খোলা সম্ভব হবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, জেলেদের দেয়া একটি আবেদন পেয়েছেন। সাগরের জোয়ারের পানি খালে প্রবেশ করিয়ে নৌকা চলাচল কতটুকু সম্ভব তা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে মীরসরাইয়ে গড়ে উঠা বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরীর কারণে কারো জীবন জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বেজা তাদের পুনর্বাসন করবে বলে জানান তিনি। এরপরও আবেদনটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।.tdi_3_1f6.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_1f6.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে