আবদুল্লাহ আল হারুন : স্মরণলেখ
স্বাধীনতার পর ছাত্র সংগঠনগুলোর চরিত্রে একটা গুণগত পরিবর্তন ঘটে যায়। স্বাধীনতার পূর্বে ছাত্র সংগঠনগুলো ছিলো অনেকটা স্বাধীন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের আদর্শ ও কর্মসূচিগত সাদৃশ্য থাকলেও ছাত্র সংগঠনগুলো সৃজনশীলভাবে, বলা যায় স্বাধীনভাবেই তাদের রাজনেতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নির্বাহ করতো। যেমন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছাত্রলীগের, ন্যাপের সঙ্গে ছাত্র ইউনিয়নের, তমদ্দুন মজলিশের সঙ্গে ছাত্রশক্তির যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু সেই সম্পর্ক কখনো অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলো না। বড়জোর ছাত্র সংগঠনগুলোকে বলা হতো রাজনৈতিক দলের সহযোগী সংগঠন। স্বাধীনতার পর এই সম্পর্কের চরিত্র পাল্টে গিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলি হয়ে গেল রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন। লেজুড়ও বোধ হয় বলা যায়। ছাত্র সংগঠনের কাউন্সিল, নেতা নির্বাচন এবং কমিটি গঠন রাজনৈতিক দলের নির্দেশেই পরিচালিত হতে লাগলো। আরেকটা কথা বলা হয়নি। দুটি ছাত্র সংগঠন-ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের জন্ম হয়েছিলো তাদের পিতৃ বা মাতৃ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ন্যাপের পূর্বে। ছাত্রলীগের জন্মসন ১৯৪৮, আওয়ামী লীগের ১৯৪৯; ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৫২, ন্যাপের ১৯৫৭ সাল।