দেখা: করোনা-লকডাউনের অযথা আতঙ্কে তোলপাড় মন
দিন দশেক আগে ভোরবেলা সবে গলায় দড়ি দিয়েছিলেন সোনারপুরের মহম্মদ সফিকুল ইসলাম। তখনই স্থানীয় দুধ বিক্রেতার চোখে পড়ে যান। লোক জড়ো করে তড়িঘড়ি নামিয়ে আনা হয় সফিকুলকে। প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এলাকায় সুখী পরিবার বলে পরিচিত সফিকুলদের বাড়ি। তাই স্থানীয়রা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন, কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন তিনি!
আত্মীয়রা তাঁকে শুক্রবার নিয়ে এসেছিলেন পিজি-র মনোরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির (আইওপি) আউটডোরে। গলার কাছে দাগটা হালকা হলেও এখনও আছে। গলায় দড়ি দিতে গেলেন কেন? সফিকুল বলছিলেন, তাঁকে নিত্য পথেঘাটে বেরোতে হয় রোজগারের জন্য। চড়তে হয় বাস-অটোতেও। তাঁর ভয় ছিল, যদি করোনা হয়ে যায়! যদি পরিবারের লোকজনকেও সংক্রামিত করে ফেলেন!