কার ভ্যাকসিন আগে পেতে পারে বাংলাদেশ
চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র সবাই করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন তৈরি করার কাজ করছে। যে দেশের ভ্যাকসিন আগে আসবে, সরকার সেই দেশকেই প্রাধান্য দেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়াতে দেশে ভ্যাকসিন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সুযোগ বাড়লো। তবে বাংলাদেশ কার ভ্যাকসিন আগে পেতে পারে, সেটা কী বিনা পয়াসায় নাকি কিনে নিতে হবে তা নিয়ে আলোচনা বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, পৃথিবীতে প্রায় ২০২টি গবেষণা চলছে ভ্যাকসিন নিয়ে। তার মধ্যে আটটি ভ্যাকসিনের গবেষণা রয়েছে তৃতীয় ধাপে, যার মধ্যে চার থেকে পাঁচটিকে ভ্যাকসিন হিসেবে পাওয়া যাবে। এছাড়া প্রায় ৩০ টির মতো রয়েছে প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপে। সব মিলিয়ে কোভিড মহামারি মোকাবিলায় ৯ ধরনের ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ হচ্ছে, যার মধ্যে ছয় ধরনের ভ্যাকসিন বিশ্বের ইতিহাসে এবারই প্রথম, এই ছয় টেকনিকের ভ্যাকসিন পৃথিবীতে এখনও নেই।
বাংলাদেশ ভ্যাকসিনের আবেদন করেছে গত জুলাই মাসে। চীন, ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনের কাজ অ্যাডভান্সড স্টেজে রয়েছে। বাংলাদেশেও কয়েকটি কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে।
আবার বিশ্বে ৬০টি দেশ রয়েছে, যারা টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনবে। আর ৯২টি দেশ রয়েছে যারা বিনা পয়সায় পাবে, যার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। তাই বাংলাদেশ কবে পাবে বা কার ভ্যাকসিন আগে পেতে পারে, এরকম অজস্র প্রশ্ন রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।