কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিএনপি’র ত্রাণ বিতরণে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি পুলিশ

মানবজমিন বগুড়া জেলা প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

বগুড়া জেলা বিএনপি’র ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালার জন্য মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি স্থানীয় পুলিশ। ফলে অসহায় মানুষদের হাতে ত্রাণের প্যাকেট আনুষ্ঠানিক ভাবে পৌঁছাতে পারেনি দলটি। শেষে দলীয় কার্যালয়ে স্বল্পপরিসরে ত্রাণ বিরতণ করা হয়। মাঠ ব্যবহরের অনুমতি না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নেতাকর্মীরা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ৫ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার ১ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিরতণের কর্মসূচি ছিলো। এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ ব্যবহারের জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চায় জেলা বিএনপি। পুলিশ সেই কার্যক্রমের জন্য কোথাও অনুমতি দেয়নি। পরে পুলিশ প্রশাসেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে দরীয় কার্যালয়ে স্বল্প পরিসরে অনুমতি মেলে। বেলা ১১টায় সেখানেই মাত্র ৩০ জনের হাতে এই ত্রাণের প্যাকেট তুলে দেয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়েছে দলীয় সূত্রে। বাকি প্যকেটগুলো তালিকা অনুযায়ী পরে বাড়ি বাড়ি পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে পুলিশের এমন ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি উপকারভোগীদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ত্রাণের স্লিপ হতে প্যাকেট নেয়ার আশায় অনেকেই এসে ফিরে গেছেন। জায়গার সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের হাতে এসব প্যকেট তুলে দেয়া সম্ভব হয়নি। নেতৃবৃন্দদের পক্ষ থেকে উপস্থিত উপকারভোগীদের জানানো হয় তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই প্যাকেট পৌঁছে দেয়া হবে। পরে তারা ফিরে যায়। এসময় অনেকেই বলেছেন, আওয়ামী লীগ ত্রাণ চুরি করে আর পুলিশ দিয়ে বিএনপির ত্রাণ দিতে বাঁধা সৃষ্টি করে। এসময় বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মো. সিরাজ বলেন, যারা নির্বাচনে ভোট চুরির সাথে জড়িত ছিলো তারাই এখন গরীবের মাঝে ত্রাণ বিতরণে বাঁধা দিচ্ছে।  তিনি আরো বলেন, এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিএনপির ত্রাণ বিতরণে বাধা দিচ্ছে। এই মহামারীর মধ্যে সরকারের লোকজন ত্রাণের চাল চুরি করছে। চারদিকে চাল চুরির হিড়িক পড়েছে। আসলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই ক্ষমতাসীন সরকারের কোনো জবাবদিহি নেই। এবিষয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘কোভিড-১৯ এখনো যায়নি। পুলিশ সুপার তাকে (ওসিকে) জানান, খেলার মাঠে হাজার হাজার লোকের গ্যাদারিং হবে তাই ত্রাণ কার্যক্রমের অনুমোতি ওই মাঠে দেয়া যাবে না।’ বিএনপির জেলা অফিসে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক এমপি মো. হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রেজাউল করিম বাদশা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, বগুড়া জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও