কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মহানগর ছাত্রদলের কমিটি পুনর্গঠনে অনিশ্চয়তা

দৈনিক আজাদী চট্টগ্রাম প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২০, ০৫:২৭

.tdi_2_a1a.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_a1a.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});ছাত্রদলের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি পুনর্গঠনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কারণ, পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় জড়িত কেন্দ্রীয় নেতাদের সর্বপ্রথম নগরের আওতাধীন থানা ও কলেজ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এদিকে মহানগরের ১৬ থানার সবগুলো কমিটিই মেয়াদোত্তীর্ণ। আবার ৮৫ কলেজের হাতেগোনা দুয়েকটি ছাড়া বাকিগুলোতে কখনো কমিটিই গঠন করা হয়নি। বলা হচ্ছে, এসব কমিটি গঠন সময়সাপেক্ষ। ফলে থানা ও কলেজ কমিটি গঠনের দীর্ঘসূত্রতায় নগর কমিটি গঠনে অনিশ্চয়তা তৈরি হলো। ছাত্রদলের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, দুই বছরের জন্য গঠিত নগর ছাত্রদলের বিদ্যমান কমিটির মেয়াদ সাত বছর এক মাস পূর্ণ করেছে গত শুক্রবার। অবশ্য এর আগে গত মাসে পুরনো কমিটি ভেঙে ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এ লক্ষ্যে পদ প্রত্যাশী ৩২৬ জনের জীবনবৃত্তান্তও সংগ্রহ করে কেন্দ্র। এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সাথে ভার্চুয়াল সভা করেন। এতে তিনি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, চট্টগ্রাম মহানগরের আওতাধীন কলেজ ও থানা কমিটিগুলো গঠন শেষে যেন মহানগর কমিটি গঠন করা হয়। এ মুহূর্তে নগর কমিটি ঘোষণা করলে আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনার কথাও আলোচনা হয় ওই সভায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় এক নেতা বিষয়টি দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি এটাও বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে আরো কয়েক দফা আলোচনা হবে। সেখানে সংগঠনের স্বার্থে যৌক্তিক মনে হলে নগর কমিটি সবার আগে ঘোষণা হতেও পারে। এদিকে নগর কমিটি গঠনের আগে থানা ও কলেজ কমিটি গঠনের খবরটি ছড়িয়ে পড়লে হতাশ হয়ে পড়েন নগর কমিটির পদপ্রত্যাশীরা। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে অনেকে পোস্টও করেছেন। তারা নগর কমিটি গঠনের পরেই থানা ও কলেজ কমিটি গঠনের দাবি জানান। জানতে চাইলে ছাত্রদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক এবি এম মাহমুদ আলম সর্দার দৈনিক আজাদীকে বলেন, মহানগর কমিটি গঠনের জন্য আমরা নির্দিষ্ট ফরমের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম। সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। সার্টিফিকেট ও পাসের সনের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে খোঁজ খবর নিচ্ছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই করেই কমিটি ঘোষণা করবো। আগে থানা ও কলেজ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানা ও কলেজের বিষয়েও সিভি সংগ্রহ করে রাখবো। এ ব্যাপারে আমরা যারা টিমের দায়িত্বে আছি তাদের মধ্যে মিটিং হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নিবো কোন প্রক্রিয়ায় কমিটিগুলো গঠন করতে পারি। এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিবো। তবে নগর এবং থানা ও কলেজ দুটো নিয়েই আমরা কাজ করছি। অবশ্য আমাদেরও তো হাইকমান্ড আছে। হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেভাবেই কাজ করবো। নগর ছাত্রদলের কমিটি পুনর্গঠনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় টিমের প্রধান শফিউল মোসাব্বির শাফি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে পাওয়া সিভিগুলো যাচাই-বাছাই করছি। বিবাহিত-অবিবাহিতের একটি ক্রাইটেরিয়া আছে, পরীক্ষা পাশের সনের বিষয়েও একটা সিদ্ধান্ত আছে। বিভিন্ন সময়ে দেখা যায়, অনেকে ভুয়া সার্টিফিকেট দাখিল করে। তাই সবগুলোর বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছি বলে একটু সময় লাগছে। নগর ছাত্রদলের কমিটির আহ্বায়ক প্রত্যাশী আলিফ উদ্দিন রুবেল বলেন, নগর ও থানা পর্যায়ে ঠিক সময়ে কমিটি হয়নি বলে কর্মী সংকট আছে। আগে যদি থানা ও কলেজ কমিটি গঠন করা হয় সেক্ষত্রে মহানগর কমিটি গঠনে কর্মী সংকট থাকবে। তাই নিয়ম অনুযায়ী আগে মহানগর কমিটি গঠন করা উচিত। এবং মহানগর কমিটিই থানা ও কলেজ কমিটি ঘোষণা করতে পারবে। একইসাথে বিবাহিত-অবিবাহিত বিবেচনা না করে ত্যাগীদের নিয়ে নগর কমিটি গঠন করা উচিত। আরেক পদ প্রত্যাশী সামিয়াত আমিন জিশান বলেন, নগর কমিটি গঠনে গত মাসে যে উদ্যোগ শুরু হয়েছিল সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরা চাই দ্রুত নগর কমিটি ঘোষণা করুক। প্রকৃত ত্যাগীদের এবং দলের প্রতি আনুগত্য আছে তাদের মূল্যায়ন করা হোক। নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ বলেন, নগর কমিটি গঠনে পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করেছিলাম। সংগৃহিত ৩২৬ জনের সিভি কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছি। নগর কমিটির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আকবর শাহ ও চকবাজার থানা ছাত্রদলের কমিটি গঠন করেছিলেন বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৩ সালের ২১ জুলাই নগর ছাত্রদলের ১১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং চারজন সহসভাপতি, চারজন যুগ্ম সম্পাদক এবং একজনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। কেন্দ্র থেকে এ কমিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল পরবর্তী তিন মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার। কিন্তু গত সাত বছরেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি এ কমিটি। দীর্ঘ এ সময়ে কমিটির একজন মারা গেছেন। বাকিদের মধ্যে নয়জনই যোগ দিয়েছেন বিএনপিসহ অন্য অঙ্গসংগঠনগুলোতে।.tdi_3_db8.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_db8.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও