কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিচ্ছে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল

দৈনিক আজাদী ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল লিমিটেড, চট্টগ্রাম প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২০, ০৬:৫৭

.tdi_2_366.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_366.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বিশ্বমানের ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল দেশের স্বাস্থ্য সেবাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়া বাংলাদেশি মানুষের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়লেও এখন এ হাসপাতালের জন্য বিদেশ যাত্রার হার অনেকাংশে কমবে। এতে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা দেশেই থাকবে। তিনি গতকাল সকালে নগরীর ৪০০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক এবং বহুমুখী বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সম্প্রসারিত ১৭টি কেবিন সম্বলিত কোভিড ব্লকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশও কোভিড নিয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও যথাযথ পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে মরণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মত্যুর হার একেবারে নিম্ন পর্যায়ে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন জীবিকা চালু রাখতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুধু দেশের মানুষের জীবন নয়, বরং জীবিকা রক্ষারও পদক্ষেপ নিয়েছেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, শুরুতে যেভাবে আশংকা করা হয়েছিল, করোনা ভাইরাসে হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে, রাস্তায় মানুষের লাশ পড়ে থাকবে, হাসপাতালে শয্যা পাওয়া যাবে না- এ ধরনের অনেক আশংকার কথা বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন। কথায় কথায় যারা সরকারের সমালোচনা করেন, তারাও বলেছিলেন। কিন্তু আল্লাহর রহমতে সেই পরিস্থিতি হয়নি। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় যে পরিমাণ শয্যা আছে, তার অর্ধেকের বেশি খালি আছে। ঢাকা শহরেও একই অবস্থা। করোনায় আমাদের মুত্যুর হার ইউরোপের চেয়েতো বটেই, এমনকি ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও কম রাখতে সক্ষম হয়েছি। যেখানে ভারত ও পাকিস্তানে মৃত্যুহার প্রায় ২ শতাংশ, সেখানে আমাদের দেশে ১ দশমিক ২৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে উঠানামা করছে। অর্থাৎ আমরা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অবশ্য তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অনেক দেশে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের শিকার হচ্ছে। নিউজিল্যন্ডে করোনা শূন্য হয়ে যাওয়ার পর আবার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। চীনের উহান ও বেইজিংয়ে করোনা শূন্য হওয়ার পর আবার দেখা দিয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে স্বস্তির জায়গায় যাওয়া ঠিক হবে না বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর করোনা ভাইরাস নিজ থেকে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টির ব্যাখা স্বাস্থ্যমন্ত্রীই ভালো দিতে পারবেন। চট্টগ্রামে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ যারা নিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চিকিৎসা সরঞ্জামে সমৃদ্ধ ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল। হৃদরোগের চিকিৎসায় এ রকম বিশেষায়িত হাসপাতাল দেশে আর একটিও নেই। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল করোনা ইউনিট চালু করায় আমি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। করোনা চিকিৎসায় চট্টগ্রামের অবস্থা এখন অনেক ভালো, ঢাকার চেয়ে খারাপ নয়। এখন যে পরিমাণ আইসিইউ শয্যা আছে সে পরিমাণ রোগী নেই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টের ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার কথা স্মরণ করে বলেন, জঙ্গি দমন করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার অনেক দেশের চেয়ে অনেক বেশি সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে। আমরা জঙ্গি নির্মূল করতে পেরেছি- সেই দাবি আমরা করব না। তবে জঙ্গি দমন করা সম্ভবপর হয়েছে। জঙ্গি নির্মূল করাও সম্ভব হতো যদি বিএনপি-জামায়াত তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিত। বাংলাকে আফগান বানানোর স্বপ্ন দেখা জঙ্গিরা ২২ দলীয় জোটের সাথে রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের জন্য জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল করা যাচ্ছে না। ২০০৫ সালের এ দিনে দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে ৫শ’র বেশি জায়গায় বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামায়াত সরকার তখন ক্ষমতায় ছিল। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে জঙ্গিরা শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছিল, জঙ্গিরা শক্তিশালী হয়েছিল। জঙ্গিরা সেই শক্তিপ্রদর্শন করার লক্ষ্যেই তখন ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালিয়েছিল। জঙ্গিদের প্রতি বিএনপি-জামায়াতের সেই আশ্রয়-প্রশ্রয় এখনো আছে অভিযোগ করে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ৫০০ জায়গায় একযোগে যারা বোমা হামলা চালিয়েছিল, তাদের দোসররা বিএনপির জোটের মধ্যে আছে। যারা স্লোগান দেয় ‘আমরা সবাই তালেবান, বাংলাদেশ হবে আফগান’- তারা কিন্তু ২২ দলীয় ঐক্যজোটের মধ্যেই আছে।’ তিনি বলেন, রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় যদি জঙ্গিদের না থাকতো তাহলে জঙ্গি নির্মূল করা সম্ভব হতো। যখন কোনো জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হতো তখন বেগম খালেদা জিয়া এমন কথাও বলেছিলেন, ‘কিছু লোককে ধরে এনে আটকে রাখা হয়, যখন চুল-দাঁড়ি লম্বা হয়, তখন তাদেরকে জঙ্গি বলা হয়।’ এই ধরনের দায়িত্বহীন কথাও তিনি বলেছেন। এভাবে জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা দিচ্ছে। মন্ত্রী ইমপেরিয়াল হাসপাতালের নন-কোভিড কয়েকটি বিভাগও পরিদর্শন করেন। এ সময় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ৯ শয্যা বিশিষ্ট নিউরো-আইসিইউ বিভাগেরও উদ্বোধন করেন এবং উন্নতমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ব্যবস্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করে হাসপাতালের উন্নতিকরণে যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। স্বাগত বক্তব্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন স্বাগত বক্তব্যে হাসপাতালের কয়েকটি বিশেষ দিক তুলে ধরেন বলেন, এ হাসপাতালে এক ছাদের নিচে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা রয়েছে। বিত্তবান, মধ্যবিত্ত ও অস্বচ্ছল থেকে শুরু করে সব ধরনের রোগীরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। এছাড়া দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে চিকিৎসক, নার্স ও মেডিকেল টেকনিশিয়ানদের জন্য প্রশিক্ষণসহ আবাসিক ব্যবস্থা, দূরবর্তী রোগীর দর্শনার্থীদের থাকার সুবিধার জন্য আবাসন সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, এখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ (ইনফেকশান কন্ট্রোল), রোগীদের নিরাপত্তা এবং কর্মীদের নিরাপত্তা এই ৩টি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা এবং হাসপাতাল জৈব বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য সরকারি নীতিমালা অনুসরণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের পরিচালক এবং দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, চিকিৎসার জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা আমাদের বাইরে দিয়ে আসতে হয়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, এই হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগ পুরোটাই ভারতের নায়ারনা হাসপাতালের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এখানেই হৃদরোগের বিশ্বমানের সব চিকিৎসা হবে। হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য দেশের আর কোনো মানুষকে কোনো দিনই বিদেশ যেতে হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। এম এ মালেক বলেন, এই হাসপাতাল একটি ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত। ব্যবসার মানসিকতা থেকে এই হাসপাতাল করা হয়নি। আমরা যারা এখানে বিনিয়োগ করেছি তারা কেউই মুনাফার জন্য করিনি, সেবার জন্য করেছি। এই হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যয় তুলনামূলকভাবে কম রাখা হয়েছে। গরীব রোগীদের চিকিৎসার জন্যও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সবকিছু মিলে শুধু চট্টগ্রামেরই নয়; দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি ভরসার জায়গায় নিজেদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন বলেও এম এ মালেক মন্তব্য করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম খান, প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ, আরিফুল করিম, নাফিদ নবী, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমসহ হাসপাতালের কনসালটেন্ট, চিকিৎসক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামস্থ ইমপেরিয়াল হাসপাতালে দেশের বিভিন্ন মহলের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ৫০ শয্যার সম্পূর্ণ আলদা ব্লকে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১টি শয্যা আইসিইউ এবং এইচডিইউ এর জন্য সংরক্ষিত। অপেক্ষাকৃত কম জটিল রোগীদের জন্য ১৭টি কেবিন রয়েছে। সংক্রমণ রোধের জন্য আলাদা বহির্বিভাগ, ল্যাবরেটরি, এক্সরে ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানসহ কর্মকর্তাদের থাকা, খাওয়া, লন্ড্রীসহ সম্পূর্ণ আলদা ব্যবস্থা আছে। তবে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসা সেবা পূর্বের ন্যায় অব্যাহত রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৫ জুন ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল উদ্বোধন করেন চিকিৎসা বিজ্ঞানকে মানবতার মুক্তিতে কাজে লাগিয়ে কিংবদন্তী হয়ে উঠা আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ভারতের নারায়ণা হেলথের চেয়ারম্যান ডা. দেবী প্রসাদ শেঠী।.tdi_3_07a.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_07a.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও