চট্টগ্রাম মেডিকেলে কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

.tdi_2_c7f.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_c7f.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দিনভর কর্মবিরতি পালনের পর রাতে তা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। মারামারি ও দুই শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় তারা এ কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন। শুক্রবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ডা. তাজওয়ার রহমান খান বলেন, “আগামীকাল জাতীয় শোক দিবস এবং যা ঘটেছে সেই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই দুই কারণে আগামী ৬০ ঘণ্টার জন্য আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি। এই সময়সীমা এখন থেকে শুরু হবে।” বিডিনিউজ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ন কবীরও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। ইন্টার্ন ডাক্তাররা হোস্টেলে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে আশ্বাস চেয়েছেন। আমরা সেটা মনিটর করব। আহত দু’জনকে আমরা দেখে এসেছি। তারা ভালো আছেন। ইন্টার্ন ডাক্তাররা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন।” বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের এক পক্ষের মধ্যে বিতণ্ডা ও মারামারি হয়। এর জেরে দুই পক্ষই চকবাজার থানায় অভিযোগ করেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর চকবাজার থানার গুলজার মোড় এলাকায় ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ডা. ওসমান গণি এবং ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদক সানি হাসনাইন প্রান্তিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। আহত দু’জন শুক্রবার রাতেও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হামলার ঘটনায় এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের করা মামলায় ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের ১১ জনকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে শুক্রবার বিকেলে আদালত ঐ ১১ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ছাত্রাবাস থেকে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা চলে যান। গত মাস থেকে হাসপাতালের কাজে যোগ দেওয়া ইন্টার্ন চিকিৎসকরা শুধু ওই ছাত্রাবাসে ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের হাতে ছিল। সম্প্রতি ছাত্রলীগের অন্য একটি অংশ ক্যাম্পাসে তাদের অবস্থান জোরালো করার চেষ্টা করে। এ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। আহত ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের নেতারা সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী এবং বিরোধী পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। নওফেলের অনুসারীরা বৃহস্পতিবার দুপুরে হোস্টেলে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেছেন, সেখানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন তারা। তবে সেদিন রাতের হামলার বিষয়ে কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন তারা। এর আগে গত ১৪ জুলাই নওফেল ও সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দু’টি হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা দিতে যান। তারা বেরিয়ে যাওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। সেদিন দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হন। পরে পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়। এর আগেও কয়েকবার চট্টগ্রাম-৯ আসনের (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) সাংসদ নওফেল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে গেলে নাছির অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তার গাড়ি ঘিরে স্লোগান দেওয়াসহ নানাভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে জুন পর্যন্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের কাজে যোগ দেননি। জুলাইয়ে ৮০ জন এবং সবশেষ বৃহস্পতিবার ৮৫ জন কাজে যোগ দেন।.tdi_3_235.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_235.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});