কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নোয়াখালীতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মানবজমিন নোয়াখালী প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

সন্ত্রাসীদের নির্মম হামলায় গুরুতর আহত সন্তানকে মৃৃত্যু শয্যায় শায়িত রেখে সরকারের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মা সুফিয়া খাতুন। গতকাল দুপুরে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে ভুক্তভোগীর পরিবার কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ছেলে দেলোয়ার হোসেনকে লোমহর্ষকভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত ও পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিচার দাবি করেছেন তিনি। সুফিয়া খাতুন লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, ঈদের আগে সোনাইমুড়ি থানার সোনাপুরের কালিকাপুর এলাকায় তার ছেলে দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে একই এলাকার অন্যতম পেশাদার সন্ত্র্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ সাহাব উদ্দিন, মাসুদ, শাকিল, সাজু, সুজন, ইউসুফ, এছাকদের মধ্যে কোরবানির গরু বাজারের ইজারা নিয়ে মতবিরোধ হয়। এরই জের ধরে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালিকাপুর বাজারে নুর ইসলামের ফলের দোকানের সঙ্গে সেলুন দোকানের সামনে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ছেলে দেলোয়ার হোসেনকে একা পেয়ে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। এ সময় তার ছেলে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের গালমন্দ করতে নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোটা, রামদা ও কিরিচ দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি লাথি, কিল, ঘুসি ও কুপিয়ে হাত পায়ের রগ কেটে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় সন্ত্রাসীরা তার ছেলের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, দামি ২টি মোবাইলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনায় আহত দেলোয়ারের চিৎকারে মামলার এজাহারভুক্ত সাক্ষীরা এগিয়ে এলে বিবাদীরা তার ছেলেকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঘটনাস্থলে রেখে চলে যায়। এ সময় তারা এ নিয়ে দেলোয়ারের পরিবার থানা পুলিশ বা কোথাও বিচার চাইতে গেলে পরবর্তীতে খুন করে লাশ ঘুম করার হুমকি-ধামকি দিয়ে আতঙ্কিত করে। পরবর্তীতে মামলার এজাহারভুক্ত সাক্ষীরা তার ছেলেকে রক্তাক্ত জখম ও অজ্ঞান অবস্থায় সোনাইমুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে তার অবস্থা বেগতিক ও আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। বর্তমানে দেলোয়ার লোমহর্ষক বেদনা নিয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায় শায়িত রয়েছে। এদিকে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ি থানায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে আসামিরা মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে আহতের মা সুফিয়া খাতুন ও তার পরিবারকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি- ধামকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার জানান, অভিযুক্ত শাকিল, মাসুদ ও সাহাব উদ্দিনদের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ি থানায় হত্যা, দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রুজু রয়েছে। এলাকায় তাদের ধারাবাহিক অত্যাচার, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, দখল ও ইয়াবা ব্যবসাসহ পুরো কালিকাপুরবাসীই অতিষ্ঠ। এ সময় নুর নাহার বেগম জানান, কিছুদিন আগে তার পুত্র সিএনজিচালক সাখাওয়াত হোসেন সুজনকে চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে এ চক্র। পরে তিনি পুলিশের সহায়তায় ছেলেকে ফিরে পান। একই অভিযোগ এলাকার বাবুল মিয়ার, তিনি জানান, ১৬ই মে রাত ১১টার দিকে তার বাড়ির সামনে থেকে ছেলে সাহেদকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তায় রাত ৩টায় বাগান বাড়ি নামক স্থান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও