কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

খুলনার জিআরপি থানার সাবেক ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদী উধাও!

মানবজমিন খুলনা প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

খুলনা জিআরপি (রেলওয়ে) থানার সাবেক ওসি উসমান গণি পাঠানসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলার বাদীকে গত ৬-৭ মাস যাবৎ তার কোনো সন্ধান পাচ্ছে না পরিবারের সদস্যরা। ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলায় আদালতে এফিডেভিট দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। এই মামলায় পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে ইতিমধ্যে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেছেন। তবে কি কারণে মামলার বাদী ওই নারী উধাও হলেন তা জানাতে পারেননি তার আইনজীবী ও স্বজনরা।  বেনাপোল-খুলনাগামী ট্রেনের মধ্যে ফুলতলা থেকে সালমা বেগম নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করে খুলনা জিআরপি থানা পুলিশ তাকে রাতে থানা হাজতে রাখেন। ওই রাতে খুলনা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচজন পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে বলে ৩রা আগস্ট আসামি নিজে আদালতে অভিযোগ করেন। আদালত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ প্রদান করেন। ২৩শে সেপ্টেম্বর সালমা বেগম উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যা রেলওয়ে থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয় এবং পিবিআই খুলনাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন আদালত। পিবিআই’র তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ আবু বকর মামলাটি তদন্তকালে ১ নম্বর আসামি রেলওয়ে থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ কর্তৃক মামলার বাদীকে ধর্ষণ ও যৌনপীড়নের অভিযোগের সত্যতা পাননি। এ বিষয়ে চলতি বছরের ২রা ফেব্রুয়ারি রেলওয়ে থানার চূড়ান্ত রিপোর্ট (নং-০১) ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩)/১০/৩০) আদালতে দাখিল করেন। তবে তদন্তে মামলার বাদী সালমাকে পুলিশ কর্তৃক মারপিট করার সত্যতা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে চলতি বছরের ৩রা ফেব্রুয়ারি খুলনার পিবিআই কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য উপস্থাপন করেন। সালমার আইনজীবী বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা বিভাগের কো-অর্ডিনেটর এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, বাদী সালমা বেগমের ফোন নম্বর অনেক দিন থেকে বন্ধ পাচ্ছি। তার ভাই শাহাবুদ্দিন মাতুব্বরসহ অন্যান্য স্বজনরাও কোনো খবর জানাতে পারছেন না। তার বিরুদ্ধে জিআরপি থানার মাদক মামলায়ও তিনি হাজির হচ্ছেন না। তাছাড়া শুনেছি পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় তিনি আপস করার পর এফিডেভিটও করে দিয়েছেন।  উল্লেখ্য, ২রা আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা ওই গৃহবধূকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করে। পরদিন তাকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ফুলতলায় পাঠানো হয়। ৪ঠা আগস্ট আদালতে জামিন শুনানিকালে ওই নারী অভিযোগ করেন, জিআরপি থানায় তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তবে জিআরপি পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল ওই নারী মাদকের মামলা থেকে রক্ষা পেতে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও