কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মৌলভীবাজারে বাগান চালু ও মজুরি পরিশোধের দাবি চা-শ্রমিক সংঘের

মানবজমিন মৌলভীবাজার প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

অবিলম্বে কমলগঞ্জ উপজেলার দলই চা-বাগান চালু ও শ্রমিকদের মজুরি ও রেশন পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক রাজদেও কৈরী ও যুগ্ম আহবায়ক হরিকিষণ হাজরা। ১০ই আগস্ট গণমাধ্যমে পাঠানো একযুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন করোনা মহামারিকালীন দুর্যোগের সময়ে ধলই চা-বাগান কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে শ্রমআইন লঙ্ঘন করে আকম্মিকভাবে কোন রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ২৭শে জুলাই রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাগান বন্ধের নোটিশ দেন। এরপর কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ২৯শে জুলাই, ৪ঠা আগস্ট এবং  ৮ই আগস্ট তিন দফায় বৈঠক করেও বাগান চালু করা হয়নি। উপরন্তু বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের শান্ত করতে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসন শ্রমিকদেরকে আশ্বাসের পর আশ্বাস দিয়ে চলেছেন। নেতৃবৃন্দ প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন দলই চা-বাগানের স্থায়ী অস্থায়ী মিলে হাজারো শ্রমিকের জীবন ও জীবিকা রক্ষার্থে ধলই চা-বাগানের লিজ বাতিল করে বাংলাদেশ চা-বোর্ডের অধীনে নিয়ে বাগান চালু করা হোক। একই সাথে দলই চা-বাগানের মালিক রাগীব আলীকে চা-বাগান পরিচালনায় অনুপোযুক্ত ঘোষণা করে তার মালিকাধীন মালনীছড়া চা-বাগান, রাজনগর চা-বাগানসহ সকল চা-বাগানকে চা বোর্ডের আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। নেতৃবৃন্দ দলই চা-বাগনের শ্রমিকরা অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন উল্লেখ করে বলেন প্রশাসনের উদ্যোগে সর্বশেষ ৩০শে জুলাই শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরি পরিশোধ করা হলেও রেশন প্রদান করা হয়নি। এরপর থেকে ১১ দিন যাবৎ শ্রমিকরা মজুরি ও রেশন না পেয়ে অন্যান্য বাগানের শ্রমিকদের সহযোগিতায় কোনরকমে দিনাতিপাত করছেন।  বাগান কর্তৃপক্ষ ২৭শে জুলাইও পরদিন বিদ্যুৎ থাকবে না বলে শ্রমিকদেরকে অতিরিক্ত হিসেবে তিনগুণ কাজ করতে বাধ্য করেন। নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ শ্রমআইন-২০০৬ এর ১৩ ধারার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন শ্রমিকদের বেআইনি ধর্মঘটের কারণে মালিকপক্ষ তার প্রতিষ্ঠান আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে পারবেন। কিন্তু যেহেতু দলই চা-বাগানের উৎপাদন অব্যাহত ছিল, এমন কি ২৭শে জুলাইও শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্বিঘ্নে অতিরিক্ত কাজ করেছেন সেহেতু কর্তৃপক্ষ শ্রমআইনের ১৩ ধারার অপপ্রয়োগ করে শ্রমআইন লঙ্ঘন করেছেন। মালিকপক্ষের বেআইনি এই সিদ্ধান্তের জন্য তাদের বিরুদ্ধে শ্রমআইন ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আহবান জানান। অবিলম্বে দলই চা-বাগান চালুর দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন ধলই চা-বাগান চালু না করা হলে সমগ্র চা-শিল্পে শ্রম অসন্তোষ সৃষ্টি হলে তার দায় মালিকপক্ষ নিতে হবে। শ্রমিকদের ব্যবহার করে বাগান কর্তৃপক্ষ ও যেকোন স্বার্থান্বেশী মহলের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার অপচেষ্ঠার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের সজাগ ও সর্তক থাকার আহবান জানান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও