কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সরকারি কোষাগারে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্বৃত্ত টাকা

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৮ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

প্রথমবারের মতো সরকারি কোষাগারে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্বৃত্ত টাকা। যার পরিমান প্রায় ৯৬১ কোটি টাকা। এরমধ্যে পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ৪৬১ কোটি টাকা এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের জন্য ৫০০ কোটি টাকা নিয়ে  যাওয়া হচ্ছে।  চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার আইন পাসের পর চট্টগ্রাম বন্দর তহবিল থেকে প্রায় ৯৬১ কোটি টাকা নিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় টাকা জমা দেওয়ার বিষয়টি নথিভুক্ত হয়েছে।   বন্দর চেয়ারম্যান জানান, চট্টগ্রাম বন্দর একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। সরকার সিদ্ধান্ত দিয়েছে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। এটা তো দেশের টাকা। মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়েছে আমরা টাকা দিচ্ছি। খুব শিগগিরই তহবিল থেকে এই টাকা দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বন্দরের তহবিল থেকে প্রথমবারের মতো এই টাকা দেশের অন্যান্য উন্নয়ন খাতের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। সূত্র জানায়, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রধান খাত চট্টগ্রাম বন্দরের তহবিলে প্রায় আট হাজার কোটি টাকার মতো উদ্বৃত্ত আছে। যা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। এই অর্থ নিয়ে যাওয়ার কারনে বন্দরের উন্নয়ন খাত বড় হোঁচট খেতে পারে। উল্লেখ্য, দেশের ৬১টি স্বায়ত্তশাসিত, সরকারি কর্তৃপক্ষ ও স্বশাসিত সংস্থার ব্যাংকে থাকা বিপুল পরিমাণ উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমার বিধান রেখে একটি বিল গত ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে পাস হয়। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় মেটাতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কন্ঠভোটে পাস হয়। তবে বিলটি পাসের তীব্র বিরোধিতা করেন জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা।সূত্রমতে, গত জুলাই মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের তহবিল থেকে তিন হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। পরবর্তী সময়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচশ কোটি টাকা দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয় চট্টগ্রাম বন্দরকে। এছাড়া পায়রা বন্দরের প্রস্তাবিত রাবনাবাদ চ্যানেলের (ইনার ও আউটার) রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়নে অনুদান হিসেবে ৪৬১ কোটি ৯০ লাখ টাকা চেয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকে চিঠি দেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী এই টাকা জমা দেওয়া হচ্ছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত