চীন যেভাবে মহামারি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে
আমার ছেলেটা বেইজিংয়ের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। প্রথম গ্রেডে। বছরে দুটো সেমিস্টার তাদের। দ্বিতীয় সেমিস্টারে একদিনও ক্লাস হয়নি। কারণ, মহামারি। প্রায় সাড়ে তিন মাস ঘরে থাকার পর জুনের ১৫ তারিখ থেকে দ্বিতীয় সেমিস্টারের কয়েকটি ক্লাসে অংশ নেয়ার সুযোগ আসে।
ততদিনে বেইজিং বলতে গেলে করোনামুক্ত। লম্বা সময় ধরে কোনো নতুন রোগী নেই। মারা গেছেন মাত্র ৯ জন। আক্রান্ত বাকিদের অধিকাংশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হাতেগোনা কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ অবস্থায় বেইজিংয়ের স্কুলগুলো ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে। উপরের ক্লাসগুলো আগে শুরু হলো। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, ইত্যাদি শর্ত পূরণ করেই।