কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কটিয়াদীতে ভাঙন এলাকা শাসন না করেই নদী খনন

মানবজমিন কটিয়াদী প্রকাশিত: ০৫ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের উত্তর পূর্বচর পাড়াতলা গ্রামের চকবাজার নামক স্থানে এবং মসূয়া ইউনিয়নের বৈরাগীরচর গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন শুরু হয়েছে। গত চার পাঁচদিনে ফসলি জমি, রাস্তা, বাজার, বাঁশঝাড়, গাছগাছালি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভয় ও আতঙ্কে নদী পাড়ের অসহায় কয়েকশ’ পরিবার উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় দিন পার করছেন।জানা যায়, গত শুষ্ক মৌসুমে নদী খননের সময় লোহাজুরী ইউনিয়নবাসী ভাঙন এলাকা শাসন করে বা নদী খননের উত্তোলিত বালু দিয়ে ভাঙন এলাকা ভরাটের দাবিতে মানববন্ধনও করেছিল। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন ভাঙন এলাকা শাসন করেই খনন করা হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবি হয়েছে উপেক্ষিত। ভাঙন এলাকা শাসন না করে নদী খনন করায় গত চার-পাঁচদিনে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন এলাকা আবার নতুন করে ভাঙতে শুরু করেছে। অতি দ্রুত নদী ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যেকোনো সময় কটিয়াদী-পাইকান সড়ক ভেঙে লোহাজুরী ও জালালপুর ইউনিয়নের দুই-তিনটি গ্রাম উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। অপরদিকে মসূয়া ইউনিয়নের বৈরাগীরচর গ্রামের ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। নদী ভাঙনরোধ করা না গেলে কয়েকশ’ পরিবার নিঃস্ব হয়ে যেতে পারে।লোহাজুরী ইউনিয়নের চকবাজারের মস্তোফা কামাল বলেন, তার ১২টি দোকানের মধ্যে ইতিমধ্যে ৩টি দোকান, মঞ্জিল মিয়া, বাচ্চু মিয়া ও বাদল মিয়ার কয়েকশ’ বাঁশের বেশ কয়েকটি ঝাঁড়, ছমির উদ্দিনের বড় বড় বেশকিছু গাছ এবং আলকাছ মিয়ার বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।  লোহাজুরী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান গোপাল জানান, নদী খননের সময় ভাঙন এলাকার ভাঙাপাড় ভরাটের দাবি জানিয়ে আমরা মানববন্ধনও করেছিলাম। আমাদের দাবির প্রতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিলেও স্থানীয় একটি বালু খেকো চক্র নদী শাসন না করেই বালু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন ভাঙনের কবলে পড়ে সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হওয়ার পথে।  লোহাজুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, নদী খননে ত্রুটি ছিল। খননের ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি। যেপাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে সেখানে গভীরতা ৪০-৫০ফুট। কিন্তু অপর পাড়ে মাত্র ৩-৪ফুট। বাঁকগুলো সঠিকভাবে খনন হয়নি। তাছাড়া এবার পানি বৃদ্ধি বিগত ১৫-২০ বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এসব নানা কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনের সংবাদ পেয়ে নূর মোহাম্মদ এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশতাকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. আকতারুন নেছা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (কিশোরগঞ্জ) মোহাম্মদ আলী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলে জানান। কিশোরগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে এবং দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও