বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সংকট করোনা
.tdi_2_e13.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_e13.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});এখন পর্যন্ত যত ধরণের ব্যাধি নিয়ে বৈশ্বিকভাবে জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), তার মধ্যে করোনাভাইরাসকেই সবচেয়ে মারাত্মক বলে ঘোষণা দিয়েছেন সংস্থাটির প্রধানতেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী মহামারী পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য চলতি সপ্তাহে ডব্লিউএইচওর জরুরি কমিটির বৈঠকের আহ্বান করবেন তিনি। নতুন করোনাভাইরাস মহামারীর আগ পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মোট ৫ বার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল, দুটি ইবোলার প্রাদুর্ভাব নিয়ে ও একটি করে জিকা, পোলিও ও সোয়াইন ফ্লু নিয়ে, জানিয়েছে বিবিসি। খবর বিডিনিউজের। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৬০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, এ মহামারীতে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ছয় লাখের বেশি লোকের। সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় এক ব্রিফিংয়ে ড. তেদ্রোস বলেন, ৩০ জানুয়ারি যখন আমি বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যজনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করি, তখনও চীনের বাইরে কোনো মৃত্যু ছিল না এবং শনাক্ত রোগী একশরও কম ছিল। কোভিড-১৯ বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। মানুষ, সমপ্রদায় ও বিভিন্ন দেশকে এটা যেমন কাছাকাছি এনেছে, আবার বিচ্ছিন্নও করেছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছয় সপ্তাহে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও প্রধান। ভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বের কঠোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখনও আমাদের সামনে দীর্ঘ কঠিন পথ পড়ে রয়েছে, বলেছেন তিনি। ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও বলেছে, সংক্রমণ প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদে ভ্রমণ বিধিনিষেধ বহাল রাখা কার্যকর পন্থা নয়। ভাইরাসের বিস্তৃতি ঠেকাতে বিশ্বের দেশগুলোকে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরার নির্দেশনার মতো ‘প্রমাণিত কৌশল’ অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে তারা। খুব বেশি দিন ধরে সীমান্ত বন্ধ করে রাখা একটি দেশের পক্ষে প্রায় অসম্ভব, অর্থনীতি সচল করতে হবে, মানুষকে কাজ করতে দিতে হবে, ব্যবসা বাণিজ্য খুলে দিতে হবে, বলেছেন ডব্লিউএইচওর জরুরি কর্মসূচির পরিচালক মাইক রায়ান। যেসব দেশে ফের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাবে, সেখানে আবার লকডাউন দেওয়া জরুরি হয়ে পড়বে বলে স্বীকার করে নিলেও ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তারা এখন থেকে যতটা সম্ভব কম সময়ের জন্য এবং সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে লকডাউন সীমিত রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন। ভাইরাস সম্পর্কে আমরা যত জানবো, ততই আমরা এটিকে নিয়ন্ত্রণে আরও দক্ষ হয়ে উঠবো, বলেছেন রায়ান।.tdi_3_f24.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_f24.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});