কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

২ কোটি টাকা ঋণ পেতে বাবুলকে ৩৫ লাখ টাকা ‘ঘুষ দেন’ সাহেদ

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২০, ০৭:০২

.tdi_2_33c.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_33c.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) থেকে দুই কোটি টাকার ঋণ পেতে ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীকে ৩৫ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। হাসপাতালের জন্য এমআরআই মেশিন কেনার জন্য ওই ঋণ নেওয়া হলেও তা না করে সেই অর্থ সাহেদ আত্মসাৎ করেছেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। এই অভিযোগে বাবুল চিশতী ও সাহেদসহ চারজনকে আসামি করে গতকাল সোমবার মামলা করেছে দুদক। অপর দুই আসামি হলেন- বাবুল চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী এবং রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল। খবর বিডিনিউজের। এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রিজেন্ট হাসপাতালের নামে পদ্মা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখায় একটি হিসাব খুলেন সাহেদ। হাসপাতালের জন্য ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকায় একটি এমআরআই মেশিন কেনার কথা বলে হিসাব খোলার দিনই সাহেদ ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কাছে ১ কোটি টাকার এফডিআর মর্টগেজ রেখে ২ কোটি টাকার ঋণের জন্য আবেদন করেন। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা না দেখে পরের দিন সাহেদের আবেদন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয় উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়, ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি সাহেদের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে ২ কোটি টাকা লোন অনুমোদনের জন্য ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান বাবুল চিশতীর কাছে উপস্থাপন করা হলে তিনি তা অনুমোদন করেন। ১৯ জানুয়ারি এমআরআই মেশিন সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি টাকার পে অর্ডার ইস্যু করা হয় জানিয়ে এজহারে বলা হয়, ২১ জানুয়ারি শাহজালাল ব্যাংকের উত্তরা মহিলা শাখা থেকে অর্থ উঠিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু এই অর্থ দিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের জন্য কোনো এমআরআই মেশিন কেনা হয়নি। সাহেদ ঋণের কোনো কিস্তিও পরিশোধ করেননি। এফডিআরের এক কোটি টাকা সমন্বয়ের পর বাকি এক কোটি টাকা থেকে সুদ আসলসহ মোট দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা এখন ব্যাংক সাহেদের কাছে পাওনা রয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানের তথ্য তুলে ধরে এজাহারে বলা হয়, ওই ২ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরের আগেই সাহেদ ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি পদ্মা ব্যাংকের বকশীগঞ্জ শাখায় বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ৩৫ লাখ টাকা জমা দেন। এই টাকা উত্তোলন করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবুল চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী। এজাহারে বলা হয়, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের সাথে রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবসায়ীক কোনো সম্পর্ক নেই। ঋণগ্রহীতার সাথে কোনো ব্যবসায়ীক সম্পর্ক না থাকা সত্বেও বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের নামে ওই ৩৫ লাখ টাকা গ্রহণ করে প্রমাণ হয়, রাশেদুল হক চিশতী এই আর্থিক সুবিধা/উৎকোচ গ্রহণ করে তার পিতা মাহবুবুল হক চিশতীর মাধ্যমে রিজেন্ট হাসপাতালকে অবৈধভাবে ঋণ পাইয়ে দেন। এ ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে গত ২২ জুলাই এনআরবি ব্যাংকের এক কোটি ৫১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। আগের দিন ২১ জুলাই পদ্ম ব্যাংকের প্রায় ৬৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে বাবুল চিশতীসহ ছয় জনকে আসামি করে মামলা করেছে কমিশন। অবৈধ সুবিধা নিয়ে ভুয়া দলিলপত্রের মাধ্যমে নামে-নোমে ঋণ বিতরণসহ অন্যান্য মাধ্যমে পদ্মা ব্যাংকের শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাবুল চিশতীর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আটটি মামলা করেছে দুদক।.tdi_3_cfc.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_cfc.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত