কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রেম ও বিয়ে নিয়ে মিম বললেন ...

মানবজমিন প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২০, ০৫:০২

তারকাদেরও ব্যক্তি জীবন আছে। দিন শেষে তাদেরও কষ্ট আছে। আছে হাসি কান্না। তারাও তো মানুষ। কষ্ট লাগে যখন এ বিষয়টি অনেকেই বুঝতে চান না। অভিমান নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন মিম। চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। ২০০৭ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার হওয়ার সুবাদে যার হাঁটা শুরু চলচ্চিত্রের রঙিন ভুবনে। প্রথম ছবিতেই হিট। ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয় তাকে। প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ ছবির মাধ্যমেই যাত্রা শুরু, এখন চলছে। ২০১৬ সালে ‘তারকাটা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ট অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান মিম। সবশেষ মিম ‘হঠাৎ বিয়ে’ শিরোনামে একটি ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করে আলোচনার জন্ম দেন। কদিন আগে করোনাকালীন তাহসান ও মিমের শর্টফিল্ম ‘কানেকশান’ বেশ প্রশংসা কুড়ায়। মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মিম কথা বলেন করোনাকালীন সময়, চলচ্চিত্রে কতদূর যেতে চান, বর্তমান অবস্থা, সামাজিক মাধ্যমে তার উপস্থিতি এবং প্রেম বিয়ে নিয়ে। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ মানবজমিন পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো: কেমন আছেন? করোনায় গৃহবন্দিত্বে কীভাবে সময় কাটছে? মিম: ভালো থাকার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে মানসিকভাবে। আর যদি তুলনা করি তাহলে ৫ মাস ধরে বন্দি রয়েছি। এর আগে তো নিজের জন্য সময় বের করার ফুরসত ই মিলতো না। সারাদিন শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হতো। এখন ঠিক তার উল্টো। খারাপ যে লাগে না তাও না। তবে পরিবার নিয়ে ভালোভাবে থাকার, মন ভালো রাখার চেষ্টাটা চলছে। মডেলিং, নাটক, চলচ্চিত্র কোন মাধ্যমে কাজ করে তৃপ্তি পান?মিম: আমার কাছে আসলে একেকটা একেক রকম। আমি যখন মডেলিং করি তখনও আমি সেটা উপভোগ করি। আগে যখন নাটক করতাম তখন সেটা ভালো লাগতো। এখন চলচ্চিত্রে কাজ করছি। সেটাও আনন্দ নিয়ে করছি। আমার কাছে অভিনয়টাই মুখ্য। সেটা মডেলিং, নাটক কিংবা চলচ্চিত্র যে মাধ্যমই হোক। আমি উপভোগ করে কাজ করতে পছন্দ করি। তারকা হয়ে কোন বিষয়টি সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর মনে হয়েছে?মিম: সত্যি বলতে আমার কাছে বিরক্তিকর কিছু লাগেনি কখনও। হয়তো বিভিন্ন কাজে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেটা মেনে নিয়েছি। কারণ কাজ করতে গেলে একটা টিমওয়ার্কের মধ্য দিয়ে কাজ করতে হয়। সেদিক থেকে আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়নি কোনো কিছু। বরঞ্চ আমি যে কাজই এখন পর্যন্ত করেছি, উপভোগ করে করেছি। আর কাজের বাইরেও আমি ভক্ত বলেন আর শুভাকাক্সক্ষী বলেন তাদের অনেক সাপোর্ট পেয়েছি। এটাই আমার কাজের অন্যতম অনুপ্রেরণা। চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে নিজেকে কতটুকু সফল মনে করেন? মিম: আমি চলচ্চিত্রে যে কাজগুলো করেছি তার জন্য প্রশংসা পেয়েছি। সব কাজ যে সমমানের ছিল তাও না। তবে আমি আমার জায়গা থেকে শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করেছি। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি ও পাচ্ছি অনেক। অল্প সময়েই আমি কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি বিষয়। আমি লাকীও। কারণ এত কম বয়সে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের স্বীকৃতি সবার ভাগ্যে জোটে না। সফলতা কিংবা ব্যর্থতার হিসাব আসলে কষি না। ভালো ভালো কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ব্যক্তি মিম আর নায়িকা মিম এই দুইয়ের মধ্যে কখনো দ্বন্দ্ব হয় কিনা? বা কোন চরিত্রটি আপনার পছন্দের।মিম: দ্বন্দ্ব হয় না আসলে। কারণ আমার পারিবারিক সাপোর্টটা অনেক। তাছাড়া আমি ব্যক্তি মিম ও তারকা মিমকে আলাদা রাখতে পছন্দ করি। সে কারণে দ্বন্দ্ব হয় না। হ্যাঁ, তবে তারকাদেরও যে ব্যক্তিজীবন থাকতে পারে সেটা অনেক সময় অনেকে বুঝেন না। কারণ হতে পারি আমি অভিনেত্রী, কিন্তু দিন শেষে আমারও তো ব্যক্তিগত জীবন আছে। কষ্ট লাগে যখন কোনো কোনো ভক্ত সেটা না বুঝেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন ফ্যাক্টর। আপনিও এই মাধ্যমে সক্রিয়। ভক্তদের কীভাবে দেখেন?মিম: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার অন্যতম মাধ্যম। আমার ভক্তরাও আমাকে প্রচুর উৎসাহ দেন। কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা যে নেই সেটা না। তবে আমি সার্বিকভাবে খুব পজিটিভলি দেখি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে। আর আমার শুভাকাক্সক্ষী ও ভক্তদের কারণেই কিন্তু আমি মিম হতে পেরেছি। তাই তাদের প্রতি আমি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ। আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি? সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে আপনি কতোটা আশাবাদী?মিম: সত্যি বলতে আমি কিছু পরিকল্পনা করে করি না। তবে ভালো ভালো কাজ করে যেতে চাই চলচ্চিত্রে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অবস্থা এখন তেমন ভালো না। করোনাকালের পর উঠে দাঁড়াতেও সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে। তারপরও এখন অনেক ভালো ছবি তৈরি হচ্ছে। ভালো পরিচালকরা আসছেন। সামনে চলচ্চিত্রের অবস্থা ভালো হবে, সেই আশা তো করতেই পারি। আপনি বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও কাজ করেছেন। পার্থক্যটা কেমন বলে মনে হয়? মিম: দুইদিকের অভিজ্ঞতাই ভালো। তবে ভারতে কাজ করে মনে হয়েছে তারা অনেক বেশি প্রফেশনাল। তাদের শুটিংয়ের কলটাইম যদি সকাল ১০টা হয়, তাহলে সেই সময়েই সবাই হাজির হয়ে যায়। এর ফলে যতটা পর্যন্ত আমার শুটিং ঠিক ততটা পর্যন্তই আমি সময় দেই। এর ফলে চলচ্চিত্রের শুটিংটাও সময়মতো শেষ হয়। এ ছাড়াও প্রতিটি দিক দিয়েই তারা অনেক বেশি আধুনিক ও প্রফেশনাল। প্রেম কিংবা বিয়ে নিয়ে চিন্তাভাবনা কি?মিম: প্রেম করছি না। আর বিয়ে নিয়ে চিন্তাভাবনা নেই এখন। বিয়ে করলে তো করাই হয়ে গেল। কিন্তু এখন আমি কাজেই শুধু মনোযোগ দিতে চাই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও