কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জনবল সংকটে শেবাচিম হাসপাতাল, যেনতেনভাবে চলছে আইসিইউ

বাংলা নিউজ ২৪ বরিশাল প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০২০, ০৮:৪৪

কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দিনদিন বাড়লেও সেই অনুপাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে বাড়েনি চিকিৎসকের সংখ্যা। জনবল সংকটের কারণে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসপাতালের আইসোলেশন, আইসিইউ ও করোনা ইউনিট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলেও পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে এসব সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। বিশেষ করে করোনা ও আইসিইউ ইউনিটে সেবা পেতে সুপারিশ ছাড়া সহায়তা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের এ সময় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা ও ঢাকা বিভাগের মাদারীপুর উপজেলার একাংশের রোগীরা শেবাচিম হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। দীর্ঘদিন দাবির পর গোটা বরিশাল বিভাগের মধ্যে একমাত্র শেবাচিম হাসপাতালে ২০১৭ সালে আইসিইউ ব্যবস্থা চালু হয়। এরপর কখনো জনবল সংকট, কখনো প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের অভাবে বেশ কয়েকবার বন্ধ হয়েছে আইসিইউ সেবা। বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসপাতালের মূল ভবনে সাধারণ রোগীদের জন্য ১০টি ও করোনা ওয়ার্ডে ১৮টি আইসিইউ বেড চালু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, যা এখন পর্যন্ত সচল থাকলেও যেনতেনভাবে চলছে সেবাদান কার্যক্রম। অপরদিকে আইসিইউতে রোগীদের মৃত্যু ঘিরে চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ থাকলেও, আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতির অভাব ও জনবল সংকটই মুখ্য কারণ হিসেবে দেখছে কর্তৃপক্ষ।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের ছয়টি জেলা হাসপাতাল, ৩৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও শেবাচিমে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট ব্যাপক। বিভাগের ১ হাজার ১৩১টি চিকিৎসক পদের মধ্যে পাঁচশ’রও বেশি এবং মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের ১০২টি পদের মধ্যে ৫৮টিই শূন্য রয়েছে। শেবাচিম হাসপাতালের অবস্থা আরও করুণ। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ৩৬০ বেডের হাসপাতালের যে জনবল কাঠামো ছিল তার অর্ধেকও এখন নেই। অথচ কাগজে-কলমে হাসপাতালটি হাজার বেডে উন্নীত হয়েছে বহু আগে।  শেবাচিম হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টেকনোলজিস্টের ২৭টি পদের মধ্যে ৬টি এবং নার্সদের মোট ৯৭৫টি পদের মধ্যে ৫২টি পদ শূন্য রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের ২২৪টি পদের মধ্যে ১২৭টি পদই শূন্য রয়েছে। আর তৃতীয় শ্রেণির ১০২টি পদের মধ্যে ৩১টি এবং চতুর্থ শ্রেণির ৪২৬টি পদের মধ্যে ১৩৫টি পদই খালি রয়েছে।

অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে যেখানে এ হাসপাতালে দৈনিক গড়ে প্রায় ১৪শ’ রোগী ভর্তি হতো, সেখানে এখন ৭শ’ অতিক্রম করছে না। হাসপাতালে ২৮টি আইসিইউর মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের জন্য রয়েছে ১৮টি। কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালের শুরুতে আইসিইউ না থাকায় পরবর্তীকালে চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট নিয়োগ হয়নি। অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক এবং ২০ জন নার্সকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আইসিইউ সেবা চালু রাখা হয়েছে। এ দিয়েই সাধারণ ও করোনা উভয় ওয়ার্ডের আইসিইউ সচল রাখা হচ্ছে। তবে করোনা ওয়ার্ডের আইসিইউ বেডের সবগুলো চালু নেই বলে জানিয়েছে অপর এক সূত্র।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও