কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লকডাউন নিয়ে এখনো অস্পষ্টতা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২০, ১০:৪৮

করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় লকডাউন (অবরুদ্ধ অবস্থা) নিয়ে অস্পষ্টতা কাটছে না। রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে পরীক্ষামূলক লকডাউনের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শেষ দিনের নমুনা পরীক্ষায় ১৮ জনের মধ্যে ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রোগী শনাক্তের হার ৬১ শতাংশ। একে অস্বাভাবিক বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

গতকাল শনিবার পুরান ঢাকার ওয়ারীতে নতুন করে লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউন চলছে আরও কমপক্ষে ৯টি জেলার বিভিন্ন এলাকায়। পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হলেও এসব জেলায় তা হচ্ছে না। এরই মধ্যে নতুনভাবে লকডাউন শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) একাধিক কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কারিগরি গ্রুপের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা শহরের কোন এলাকায় কত রোগী আছেন, সেটা নিয়ে দুই দফায় মানচিত্র তৈরি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া নতুনভাবে লকডাউন কর্মপদ্ধতিও চূড়ান্ত করা হয়েছে। কবে নাগাদ তা কার্যকর করা হবে বা আদৌ কার্যকর করা হবে কি না, তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।

কেন্দ্রীয় কারিগরি গ্রুপের সদস্যসচিব মোহম্মদ জহিরুল করিম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘লকডাউনের এসওপি (মানসম্মত কার্যপ্রণালিবিধি) অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করি, দু–এক দিনের মধ্যে তা অনুমোদন পাবে।’

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের পন্থা হিসেবে লকডাউন ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। মূল্য উদ্দেশ্য সংক্রমিত ও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা। এর বড় প্রভাব পড়ে জীবিকার ওপর। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ, যাঁদের জীবন চলে দৈনিক রোজগারের ওপর। লকডাউনের মেয়াদ কত দিন হবে, (১৪ দিন বা ২১ দিন) তা নিয়ে মতভেদ আছে।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হয় ৮ মার্চ। সংক্রমণ মোকাবিলায় এপ্রিলে সফল লকডাউন হয়েছিল রাজধানীর টোলারবাগে। এ কাজে আইইডিসিআরকে সহায়তা দিয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সাংসদ, ফ্ল্যাট ও বাড়ি মালিক সমিতি, মসজিদ কমিটি। এ ছাড়া রাজধানীর ঢাকেশ্বরী, মাদারীপুরের শিবচর ও গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর এলাকায়ও লকডাউন সফল হয়েছিল বলে একাধিকবার বলেছেন আইইডিসিআরের কর্মকর্তারা।

পূর্ব রাজাবাজারের অভিজ্ঞতা

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম পূর্ব রাজাবাজারের লকডাউন মূল্যায়ন নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন সফলভাবে শেষ করতে পেরেছি। এলাকায় সংক্রমণের যে ধারা বা শিকল ছিল, তা ভাঙা সম্ভব হয়েছে।’

কিন্তু শেষ দিনে অনেক বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হলো কী করে—এমন প্রশ্নের উত্তরে আতিকুল ইসলাম বলেন, আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্নকরণ) থাকা মানুষজন নিয়ম মানেননি। তাঁরা ঘরে থেকেও পরিবারের অন্যান্য সদস্য বা নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন।

তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, লকডাউনের শেষ দিকে করোনা শনাক্তের হার বেশি হওয়ার ঘটনা তলিয়ে দেখছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘পূর্ব রাজাবাজার আমাদের বড় শিক্ষা দিয়েছে।’

পূর্ব রাজাবাজারে ৪০–৫০ হাজার মানুষ বাস করে। পরীক্ষামূলক লকডাউন শুরু হওয়ার আগে এই এলাকায় ৩১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন বলে সরকারি তরফে বলা হয়েছিল। যদিও সেই সংখ্যা নিয়ে অস্পষ্টতা ছিল। এলাকায় লকডাউন শুরু হয় ৯ জুন রাত থেকে। এলাকার নাজনিন স্কুলে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার বুথ বসানো হয়। শুরুর দিকে দৈনিক ৫–৬ জন করে রোগী শনাক্ত হয়। এরপর প্রতিদিন দু–চারজন করে শনাক্ত হতে থাকে। আস্তে আস্তে শনাক্তের সংখ্যা কমতে থাকে। ২৭ জুন পর্যন্ত লকডাউন চলাকালে নতুন করে ৫৫ জন শনাক্ত হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ৩০ জুন ছিল লকডাউনের শেষ দিন। ওই দিন ১৮ জন নমুনা দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। রোগী শনাক্তের হার ৬১ শতাংশ। জাতীয়ভাবে রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১২ শতাংশ। লকডাউন সফলতার একটি মাপকাঠি সংক্রমণ ও রোগী শনাক্ত কমে আসা। গতকাল আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, এই এলাকায় শনাক্ত রোগী ৮৫ জন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও