কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনাকালে আ.লীগের ডিজিটাল রাজনীতি

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২০, ১১:০০

করোনাকালে সাংগঠনিক তৎপরতা সীমিত হয়ে আসলেও ডিজিটাল প্লাটফর্মে কার্যক্রম চালাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ অধিকাংশ নেতা বাসায় বসেই জুম মিটিং বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নানা কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। দলের সাংগঠনিক নির্দেশনাও যাচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে। এমনকি আলোচনা সভার মতো কার্যক্রমও চলছে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে।

গত মার্চ মাসে দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সরকার মুজিববর্ষের জনসমাগমপূর্ণ সব কর্মসূচি স্থগিত করে। সেই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগও জনসমাগমের কর্মসূচি পরিহার করে চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেসব কর্মসূচি পালন করা যায় শুধু সেগুলোই চলমান থাকে। ফলে একেবারেই সীমিত হয়ে পড়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম। মুজিববর্ষের কর্মসূচি স্থগিতের পাশাপাশি দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করা হয় সীমিত আকারে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ব্যাপক জাঁকজমক ও আনন্দ-উদ্দীপনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের ইচ্ছে থাকলেও তা আর হয় উঠেনি। এমনকি মুজিববর্ষে প্রতি জেলা থেকে দলের দু’জন প্রবীণ নেতাকে সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনাও স্থগিত করা হয়।

এসব বিষয়ে নিয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, করোনার সংক্রমণকালে সামাজিক দূরত্ব মেনে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে কারণে জনসমাগম হয় এমন কর্মসূচি পরিহার এবং ক্ষেত্রবিশেষে স্থগিত করা হয়েছে। একই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীও সীমিতভাবে পালন করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও চিকিৎসকরা সংক্রমণ রোধে সবাইকে তা অনুসরণ করার অনুরোধ করেছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং এ দুটি নিয়ম মেনে সরকারের কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সব জেলার রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। ত্রাণ তহবিলে অনুদান গ্রহণ, নৌ-বাহিনীর জাহাজ উদ্বোধনের কাজও তিনি এই মাধ্যমেই সারেন। এমনকি দলের নেতাকর্মীদেরও ভিডিও কনফারেন্সে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে নির্দেশনা দেন। নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়েও তিনি এর মধ্যে একাধিকবার ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন।সমান-তালে দলীয় কার্যক্রমও শুরু হয় ডিজিটাল মাধ্যমে।

করোনার কারণে লকডাউন শুরু হলে কাজ হারাতে শুরু করেন স্বল্প আয়ের মানুষরা। অর্থনৈতিক দুর্দশায় পতিত হয়ে তাদের জীবন ধারণ কঠিন হয়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করে আওয়ামী লীগ। যা সমন্বয় করা হয় জুম বৈঠক বা ডিজিটাল কনফারেন্সের মাধ্যমে। আবার করোনায় সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের অনুষ্ঠানও চলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।দলের নেতারা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার জন্য জুম মিটিং শুরু করেন। মাঝে-মধ্যেই শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা দলের সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে সেখান থেকে জুমের মাধ্যমে বা ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও