কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

৭ মাসেও আ’লীগের ৪ সহযোগী সংগঠনের কমিটি হয়নি

পূর্ব পশ্চিম প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২০, ০৩:০৬

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চারটি সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। সম্মেলনের সাত মাসেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগ। গেল বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে এ চারটি সংগঠনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় জানুয়ারির মধ্যে কমিটি ঘোষণার কথা বলা হলেও পরে তা মার্চ মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু মার্চেই দেশে হানা দেয় প্রাণঘাতি করোনা। দেশজুড়ে তৈরি হওয়া অচলাবস্থায় থমকে সহযোগী চার সংগঠনে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া।

করোনা প্রতিরোধে টানা দুমাসের সাধারণ ছুটি শেষে সবকিছু ধাপে ধাপে পুনরায় সচল হলেও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠনে কথা আওয়ামী লীগের কোনো নেতাই মুখে আনছেন না। এতে করোনার প্রভাবে তৈরি হওয়া মানসিক চাপের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের পদপ্রত্যাশী ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভেতর বিরাজ করছে হতাশা। কেউ কেউ এরই মধ্যে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ারও চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন।

গতবছর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমারোহে ৬ নভেম্বর কৃষক লীগ, ৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের একমাত্র ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগ, ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বহুল আলোচিত-সমালোচিত যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেস হয় ২৩ নভেম্বর। আর ও ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন হয়। সম্মেলনের পরপরই আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হলেও আটকে যায় চার এ সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি।

এর মধ্যে র্দীর্ঘ সাত বছর পর অনুষ্ঠিত হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন। এতে দলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহকে সভাপতি ও আফজালুর রহমান বাবুকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। তিন মাস আগে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়া হয় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু জানান, তিন মাস আগে আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিয়েছি। বিষয়টি আমাদের নেত্রী দেখছেন। করোনার কারণেই হয়তো ঘোষণা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী যখন অনুমতি দেবেন তখনই এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

অপর সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের ১১১ সদস্যর কমিটি জমা দেওয়া হয় সম্মেলনের এক সপ্তাহের মধ্যেই। তারপর বিভিন্ন রাজনৈতিক জটিলতা এবং মুজিববর্ষের কারণে তাৎক্ষণিক কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। আর চলতি বছরে যুক্ত হয়েছে মহামারি করোনা। সবকিছু মিলেই আটকে আছে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিও। সংগঠনটির সভাপতি সমীর চন্দ্র বলেন, পুরোনো গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি ও সম্পাদকসহ আমরা ১১১ সদস্যের কমিটি জমা দিয়েছি। এর মধ্যে আর ঘোষণা দেওয়া হয়নি। আশা করছি, করোনা সংক্রমণ কেটে গেলে আমাদের কমিটি ঘোষণা হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও