কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ব্রাজিলে দুরবস্থায় দেড় হাজার বাংলাদেশী কাপড় ব্যবসায়ী

বণিক বার্তা ব্রাজিল প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২০, ০২:০৩

কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার আগ থেকেই দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলে কাপড়ের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন অন্তত দেড় হাজার বাংলাদেশী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। করোনার প্রাদুর্ভাবে আয়-উপার্জনে মারাত্মক ধস নামায় বর্তমানে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছেন তারা।নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। বিশ্বে করোনার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬২ হাজারেরও বেশি মানুষের।

লকডাউনের কারণে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশ ও শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে দিনের পর দিন। আবার খোলা থাকলেও তা একেবারেই সীমিত আকারে। এতে চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গিয়েছেন সেখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ব্রাজিলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা জানান, ব্রাজিলে সব মিলিয়ে দেড় হাজার বাংলাদেশী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কাপড়ের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশটির অর্থনীতি অচল হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়ে গিয়েছেন তারা। বেচাবিক্রি বন্ধ হয়ে পড়ার পাশাপাশি দোকান ও বাড়িভাড়া এমনকি কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা নিয়েও মারাত্মক দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন পার করছেন তারা। এমনই একজন বাংলাদেশী কাপড় ব্যবসায়ী হাসনাত। ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় ব্যবসা করেন তিনি।

প্রতি মাসে দোকানভাড়া, বাড়িভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন বাবদ ৩ লাখ টাকার সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয় তাকে। কিন্তু গত তিন মাসে ব্যবসা না চললেও নিয়মিতভাবে এসব ব্যয় পরিশোধ করতে হয়েছে তাকে। দোকান বা বাসার মালিক—কারো সঙ্গেই ভাড়ার বিষয়টি নিয়ে কোনোভাবেই সমঝোতায় যেতে পারছেন না তিনি। বিষয়টি সুরাহার কোনো উপায়ও জানা নেই তার। করোনায় ব্রাজিলে প্রশাসনিক সব কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি ভাষাগত জটিলতা থাকায় আইনের আশ্রয়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই তার। ব্রাজিলের আরেক শহর সাও পাওলোয় ব্যবসা করছেন জয়নুল হক। তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সেখানে এখন নানাবিধ আইন-কানুন জারি রয়েছে। ফলে দোকানপাটও প্রায়ই বন্ধ থাকে।

দিনের যেটুকু সময় খোলা থাকে (ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা), তাতে ব্যবসা করে টিকে থাকা কঠিন। তার ভাষায়, আমরা যারা হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ব্রাজিলে এসে ক্ষুদ্র ব্যবসা করছি, তারা এখানে আর থাকতে পারব কিনা, সে বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাঁচব কি মরব জানি না।করোনার কারণে জীবন-জীবিকায় দুর্দশা নেমে আসার কথা জানালেন রিও ডি জেনিরোর কাপড়ের ব্যবসায়ী মুস্তফা, রবীন প্রমুখও। তবে দেশটির বিভিন্ন বড় কোম্পানি বা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা বাংলাদেশীরা এখন তুলনামূলক ভালো আছেন। ব্রাসিলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশীরা জানান, সেখানে বড় কোম্পানি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাংলাদেশীরা নিয়মিত বেতন পাওয়ার পাশাপাশি কোম্পানির অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও