কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

বাংলা নিউজ ২৪ মঠবাড়িয়া প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২০, ২০:২৫

পিরোজপুর: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ ও উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ জসীমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় ঠিকাদাররা।বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বেলা ১১টায় মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ ঠিকাদারদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেসার্স রাফি অ্যান্ড রিফা কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন খান।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পিপিআর বিধি অনুযায়ী আরএফকিউ টেন্ডার পদ্ধতিতে সিডিউল বিক্রি বা দরপত্র বিতরণের ক্ষেত্রে ৭১(৩) ধারায় কোনো মূল্য গ্রহণ ও ৭০(৬) ধারায় শতকরা ৫ ভাগ জামানত গ্রহণ করা যাবে না। কিন্তু সে নিয়মের তোয়াক্কা না করে প্রতি সেট সিডিউলের মূল্য বাবদ সাড়ে ৫ হাজার টাকা নিয়ে ৪ হাজার ৮০০ টাকার রশিদ দেওয়া হয়েছে। আর আনুমানিক ১২০টি সিডিউল বিক্রি করে টেন্ডার কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী প্রায় ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। যা পিপিআরের নিয়ম বহির্ভূত এবং সাধারণ ঠিকদারদের সঙ্গে প্রতারণা ও হয়রানিমূলক। এডিপির ওই টেন্ডার নোটিশে মঠবাড়িয়ার নিবন্ধিত ঠিকাদার ছাড়া অন্য উপজেলার ঠিকাদাররা সিডিউল কিনতে অথবা ড্রপিং করতে পারবেন না বলে উল্লেখ করা হয়, যা বিধি বহির্ভূত। এমন কি আরএফকিউ পদ্ধতিতে ৬০ লাখ টাকার উপরে দরপত্র আহ্বান করা যাবে না। অথচ ৬০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪০ টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়। আর আহ্বান করা ওই টেন্ডারের বহু কাজ অন্য তহবিল থেকে সম্পন্ন করে তার টাকা এর আগে উত্তোলন করা হয়েছে। আর ওই প্রকল্প এডিপির অর্ন্তভুক্ত করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলী ওই টাকা আত্মসৎ করার জন্য যাচাই বাছাই না করে উক্ত খাতে অনুমোদন দেন। এ সময় ওই কাজের ফান্ড ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে স্থানীয় এমপি ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগে এনে গত ৩০ জুন উপজেলা চেয়ারম্যানের করা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ করেন ঠিকাদাররা। এ সময় বক্তারা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ জসীমের অপসারণও দাবি করেন।

এদিকে, উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ওই টেন্ডার কমিটির কর্মকর্তা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী। উপজেলা পরিষদে রেজুলেশন করে আরএফকিউ পদ্ধতিতে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। আর ওই টেন্ডারে সিডিউল বিক্রির টাকা সরকারি খাতে জমা দেওয়া হয়েছে। তা কারো আত্মসাৎ করার সুযোগ নাই। আর কোনো প্রকল্প যদি এর আগে করা হয়ে থাকে, তার টাকা ফাঁকি দিয়ে তোলার কোনো সুযোগ নাই।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ও যাচাই বাছাই কমিটির সচিব কাজী আবু সাঈদ জসীমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, সিডিউল বিক্রির ওই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে একটি টাকাও আমার খরচ করার সুযোগ নেই। এর আগে ওই প্রকল্পের কাজের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে রেজুলেশন করে আমার কাছে পাঠানো হয়। এর পরে ওই কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। আর সিডিউল বিক্রিতে কোনো অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, এর আগে গত মঙ্গলবার (৩০ জুন) রাতে মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা স্থানীয় এমপি (পিরোজপুর-৩ আসন) ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর বিরুদ্ধে ওই টেন্ডারে হস্তক্ষেপসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে ঝাড়ু মিছিল, পথসভা ও সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে ও ওই টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগে উপজেলার চেয়ারম্যানের জড়িত থাকার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সংবাদ সম্মেলন করলেন স্থানীয় সাধারণ ঠিকাদাররা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও