কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শুটিংয়ে ফিরেই নাখোশ অমিতাভ রেজা!

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২০, ১৩:১১

প্রায় সাড়ে তিনমাস পর শুটিংয়ে ফিরে বেজায় নাখোশ অমিতাভ রেজা চৌধুরী!নাটক, সিরিজ, বিজ্ঞাপন আর সিনেমা বানিয়ে অভিজ্ঞতার দীর্ঘ পথজুড়ে ছুটেচলা অমিতাভের এতো সহজে নাখোশ হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া কাজটি হলো তার সবচেয়ে সহজাত- বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং। ইউনিটের অন্যতম তারকা শিল্পী ছিলেন উর্মিলা শ্রাবন্তী কর। তবে কি শ্রাবন্তীর কোনও আচরণে নাখোশ অমিতাভ!

জবাবে বললেন, ‘আরে না, কী যে বলেন। উর্মিলা তো অনেক লক্ষ্মী মেয়ে। তার জন্য না। আমি আসলে পুরো সিস্টেমটা নিয়েই বিরক্ত।’সিস্টেম! তো সমিতিগুলোর সঙ্গে বসে সিস্টেম বদলানোর আবেদন করতে পারেন। নানা ইস্যুতে নেতারা এখন বেশ অ্যাকটিভ। জ্যেষ্ঠ ও জনপ্রিয় নির্মাতা হিসেবে সমিতিগুলোর কাছে আপনার একটা কদরও আছে।‘আমি নাখোশ আমার নিউ নরমাল শুটিং অভিজ্ঞতা নিয়ে। এভাবে আসলে কাজ করা মুশকিল। এক বিন্দু মজা পাইনি শুটিং করে। কী একটা রবোটিক অবস্থা।’ ঝেড়ে কাশলেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী।

প্রায় সাড়ে তিনমাস পর ১ জুলাই দিনভর শুটিং করেছেন তিনি। শেষ করেছেন একটি বিজ্ঞাপনচিত্র। মডেলের নাম আগেই উল্লেখ রয়েছে।করোনাকালের শুটিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে চৌধুরী আরও বললেন, ‘শুটিং না করার সুযোগ থাকলে আমি তাই করতাম। আরও ছয়মাস শুয়ে বসে খেতাম। কিন্তু গত দুই দশকের নির্মাণ ক্যারিয়ারে আমার চারপাশজুড়ে অসংখ্য ঘরবাড়ি-গাছপালা জন্মেছে। যাদের দায়-দায়িত্ব আমার প্রতিষ্ঠান হাফ স্টপ ডাউন-এর। তো এখন যদি শুটিং না করি, ওদের বেতন আর টানতে পারবো না। জমানো টাকা শেষ। এখন সব ছাটাই করতে হবে। সেটা তো সম্ভব না। সমাধানও না। তাই মনের বিরুদ্ধে হলেও কাজ শুরু করেছি। কিন্তু এভাবে তো কাজ করা কঠিন। শুটিংয়ে গিয়ে করোনা আতঙ্কে থাকবো, নাকি প্রাণখুলে দৃশ্যধারণ করবো! তাও আবার ইনডোর শুটিংয়েই এই অভিজ্ঞতা। আউটডোরে কী করবো, জানি না।’

এদিকে ‘আয়নাবাজি’র পর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘রিক্সা গার্ল’ তৈরি করে বসে আছেন অমিতাভ। ধারনা করা হচ্ছে প্রথম ছবির বিপরীত ঘটনা ঘটবে এই ছবিটির মাধ্যমে। সেটি হচ্ছে বিদেশী দর্শক-সমালোচকদের কাছে ‘রিক্সা গার্ল’ ব্যাপক প্রশংসা কুড়াবে।২০২০ সালের প্রথম দিকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ‘রিক্সা গার্ল’ কর্তাদের। করোনার কারণে সেটি ঘোষণা পর্যন্তই স্থগিত রয়েছে। অমিতাভ জানান, ‘ছবি কমপ্লিট। কিন্তু করোনাকে বুকে নিয়ে যে অনির্দিষ্ট পথে রওয়ানা দিলাম, নিশ্চিত করে বলা কঠিন- কবে কখন ছবিটি মুক্তি দেবো।’ পরিবারের হাল ধরতে অসুস্থ বাবার রিক্সা নিয়ে পুরুষ-বেশে বের হওয়া অদম্য নাইমা’র গল্পই উঠে এসেছে এই সিনেমায়। এর সঙ্গে দেশের বিলুপ্ত প্রায় রিক্সা পেইন্টিংকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ছবির পরিচালক ও প্রযোজকদের।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও