কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

৯৯৯-এ কল বেড়েছে ৩ গুণ, বেড়েছে নারী নির্যাতন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২০, ১০:৪৪

স্বামীর মারধরে পাশের ফ্ল্যাটে আশ্রয় নিয়েছিলেন এক নারী। তাতেও নিস্তার মেলেনি। সেই ফ্ল্যাটের দরজায় গিয়েও ধাক্কা দিচ্ছিলেন স্বামী। রূঢ়ভাবে বাসায় ফিরে আসতে বলছিলেন। আবারও মারধরের শিকার হতে পারেন এমন আশঙ্কায় পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই নারী। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

এ ঘটনা গত ১২ মে রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি বাসার। তবে ব্যক্তিগত সুরক্ষার প্রশ্নে ভুক্তভোগী নারী বা তাঁর স্বামীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। শুধু কল্যাণপুরের ওই ঘটনাই নয়, জাতীয় জরুরি সেবার নম্বরে মে মাসে গৃহবিবাদের এমন ৯৩৪টি ফোন এসেছে। কোথাও স্বামী-স্ত্রীর কলহ, কোথাও ভাইবোনের, আবার কোথাও শিশুর ওপর নির্যাতন। অথচ গত বছরের মে মাসে এই সংখ্যা ছিল ৪৯১।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নারীর ওপর সহিংসতা বেড়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব রয়েছে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত নারী ও শিশুর ওপর নির্যাতনের ২ হাজার ১৬১টি ফোন এসেছিল জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। এ বছরের ২২ জুন পর্যন্ত সেই সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৭০৭।

শুধু স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া নয়, ভাইবোনের মধ্যে ঝগড়ার পরও পুলিশের সহায়তা চেয়েছেন কেউ কেউ। এমনই এক ঘটনা ঘটে গত ৭ মে রাজধানীর ভাটারার চেয়ারম্যানবাড়ি এলাকায়। নিজের বোনকে পিটিয়ে একটি কক্ষে আটকে রেখেছিলেন ভাই। পরে ৯৯৯–তে ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে বোনকে উদ্ধার করে।

ফোনকলের পরিসংখ্যান এবং বিভিন্ন ব্যতিক্রম ঘটনা সংরক্ষণ করেন ৯৯৯–এর ইনস্ট্রাক্টর এম এন অনিক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কয়েকটি ঘটনার ক্ষেত্রে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে বিপাকেও পড়তে হয়েছে। ১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডি থেকে এক প্রতিবেশী ফোন করে জানান, তাঁর পাশের ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে মারধর করছেন স্বামী। চিৎকার–চেঁচামেচিতে তাঁরা ঘুমাতে পারছেন না। বিষয়টি ধানমন্ডি থানার পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থল যায়। তখন স্বামী-স্ত্রী দুজনই চড়াও হন পুলিশের ওপর। তাঁরা নিজেরা অভিযোগ করেননি, তারপরও পুলিশ কেন এসেছে, এর জবাব চান। একপর্যায়ে প্রতিবেশীর সহায়তায় বিষয়টির মীমাংসা করতে হয় পুলিশকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও