কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যেন মায়ের দোয়াতেই ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে বেঁচে ফিরলেন সুমন

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২০, ০৯:১৭

রাজধানীর বাদামতলীর ফল ব্যাবসায়ী মো. সুমন বেপারী। বড় ভাইদের সুবাদে ছোট থেকেই ফল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। তবে মুন্সীগঞ্জের নাড়ির টান তাকে তাড়া করে প্রতিনিয়তই। তাই ব্যবসার খাতিরে ঢাকায় সপ্তাহে তিন দিন থাকলেও মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ির আব্দুল্লাহপুরে নিজ বাড়িতে থাকেন চারদিন। আট ভাই ও এক বোনের সংসারে বাবা ফজল বেপারী মারা যান ৬ বছর আগে। এ সময় তিনি বিদেশে ছিলেন কর্মের তাগিদে। দেশে ফিরে সত্তরোর্ধ্ব মা আমেনা খাতুনকে নিয়ে নিজ বাড়িতেই আলাদা থাকেন তিনি। অন্যান্য ভাই বোন সকলেই যার যার সংসার নিয়ে আলাদা।

প্রতিদিনের মতোই সোমবার সকালে ফজরের নামাজ শেষে মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মীরকাদিম লঞ্চ ঘাটের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। ঘাটে এসে মর্নিং বার্ড লঞ্চে উঠে যাত্রা করেন সদরঘাটের উদ্দেশে। কিন্তু পথিমধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় তাকে। রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকার কাছাকাছি এলে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূরী-২ নামের তিন তলা একটি লঞ্চ মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেয়। এ সময় লঞ্চটি উল্টে গেলে লঞ্চের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও তলিয়ে যান।

ঘটনাস্থলে সারাদিন খোঁজাখুঁজি শেষে চাচাকে না পেয়ে ক্লান্ত শরীরে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফেরেন সুমন বেপারীর ভাতিজা সাকিব বেপারী। তিনি জানান, সকালে টেলিভিশনে ব্রেকিং নিউজে লঞ্চডুবির সংবাদ পেয়ে চাচার মোবাইলে ফোন দিই। কারণ ওই লঞ্চে চাচার ঢাকায় যাওয়ার কথা। তার ফোন বন্ধ পেয়ে ছুটে যাই শ্যামবাজারের বুড়িগঙ্গার তীরে। সারাদিন খোঁজ করে কোনো হদিস না পেয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি ফিরে আসি।

রাত ১০টায় একটি টিভি চ্যানেলে ১২ ঘণ্টা পর জীবিত এক জনের সংবাদ দেখতে পাই। নিউজটি দেখে নিশ্চিত হই ওই জীবিত ব্যক্তিই আমার ছোট চাচা সুমন বেপারী। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এখন তিনি মিডফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুমন বেপারীর মা আমেনা খাতুন ছেলের জীবিত উদ্ধার হওয়ার সংবাদ পেয়ে নামাজ পড়ে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। যেন মায়ের দোয়াতেই নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছেন তিনি।

এ সময় সুমন বেপারীর মা নিহতদের পরিবারের এই শোক সহ্য করা ক্ষমতা প্রদানের জন্য প্রার্থনা করেন। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পর ডুবে যাওয়া মর্নিং বার্ড লঞ্চের ভেতর থেকে সোমবার রাত ১০টার দিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সুমন বেপারীকে। ডুবুরিরা যখন টিউবের মাধ্যমে লঞ্চটি ওপরে তোলার চেষ্টা করছিলেন তখন লঞ্চটির একাংশ ওপরে উঠে আসলেই সুমন বেপারী লঞ্চ থেকে বেরিয়ে আসেন। ডুবুরিরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে লাইফ জ্যাকেটে ঢেকে এবং শরীর মেসেজ করে তার শরীর গরম করার চেষ্টা করেন। এরপর সুমন বেপারী চোখ মেলে তাকান। কোস্টগার্ড ও নেভির কর্মকর্তারা জানান, তারা যখন উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিটিকে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছিলেন তিনি চোখের ইশারায় কথার জবাব দেয়ার চেষ্টা করছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও