কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

উপসর্গ দেখেই চিকিৎসার পথে সরকার

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২০, ১০:১৮

করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেওয়া মাত্রই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুরুত্বারোপ করলেও বাংলাদেশ পুরোপুরি সে দিকে যেতে পারছে না। শুরুতে দেশের একটিমাত্র প্রতিষ্ঠানে করোনার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হলেও এখন ৬৬টি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এটি বর্তমান পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত নয়। মানুষ পরীক্ষা করাতে পারছে না, নমুনা দিতে পারলেও রিপোর্ট পাচ্ছে এক সপ্তাহ বা ১০ দিন পর। রিপোর্ট না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এই অবস্থায় সরকার উপসর্গ দেখে চিকিৎসার পথে এগোচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, শুরুতে একটিমাত্র প্রতিষ্ঠানে করোনার পরীক্ষা করা হলেও বর্তমানে ঢাকা এবং এর বাইরের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ল্যাবরেটরি আরও বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। করোনা সন্দেহ হলে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'যেকোনও মূল্যে মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর জন্য সবার্ত্মক চেষ্টা করতেই হবে।'

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা রবিবার (২৮ জুন) দুপুর আড়াইটাই স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৪৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ৭৩৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৯৯টি। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৮০৯ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৪০৯ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন ৫৫ হাজার ৭২৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।

নোভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় স্বল্প মেয়াদে পাঁচ লাখ টেস্টিং কিট সংগ্রহ করা জরুরি বলে মনে করে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটি তাদের সুপারিশে বলে, করোনাভাইরাস শনাক্তে টেস্ট আরও বাড়ানো দরকার। যে জায়গাগুলোতে এখন পরীক্ষা করা হচ্ছে, সেখানে টেস্টের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে এবং টেস্টের জন্য স্থানও বাড়াতে হবে; যাতে আক্রান্তরা দ্রুত শনাক্ত হন। বর্তমানে শুধু করোনার উপসর্গ নিয়ে আসাদেরই পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিউনিটিতে যেসব মানুষের উপসর্গ আছে, কিন্তু রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে আসছেন না, তাদের খুঁজে বের করে টেস্ট এর আওতায় আনতে হবে।'

গত ৭ জুন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, এখন থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

রোগীদের দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষার কারণে ভোগান্তি এবং ভিড়ের জন্য রোগের সংক্রমণের বিস্তার রোধের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফিভার ক্লিনিক এবং কোভিড-১৯ ডায়াগনস্টিকের অ্যাপয়েন্টমেন্টও করা হয়েছে অনলাইনে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও