কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বস্তিতে করোনা আক্রান্তের হার কম কেন?

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২০, ১২:০০

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বাড়ছে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, করোনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বস্তিগুলোয় ও নিম্নআয়ের মানুষদের ক্ষতি হবে বেশি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বস্তি ও নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। কারণ জানতে চাইলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি কারণ হলো বস্তি ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। তবে এই সংখ্যা যে কম, তা সাদা চোখেও বোঝা যাচ্ছে। তা না হলে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বেড়ে যেতো। আরেকটি কারণ হতে পারে, বস্তিগুলোতে হয়তো অনেকেই নিজের অগোচরেই আক্রান্ত হয়ে আবার সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এছাড়া এসব মানুষ তুলনামূলক শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন। একারণে তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাচ্ছে। শরীরে হয়তো ইমিউনিটির পরিমাণও বেশি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও কোভিড-১৯ বিষয়ক কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বস্তিতে যদি করোনার প্রকোপ অন্যান্য জায়গার মতো হতো, তাহলে অনেক মানুষ মারা যেতো। কারণ এমনিতেই বস্তিগুলো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতাও কম।’ তবে এ সম্পর্কে গবেষণা করা দরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এ সম্পর্কে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না, কেন এমন হচ্ছে। গবেষণা করে কতজন পজিটিভ আর নেগেটিভ, সেটা বের করে দেখা যেতে পারে। কেন এমন হলো সেটাও গবেষণা করা জরুরি।’

করোনার উপসর্গ নিয়ে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের মধ্যে বস্তি এলাকার মানুষের হার কতো সেটা দেখতে হবে মন্তব্য করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বস্তির মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, কিন্তু হয়তো শনাক্ত হচ্ছেন না। করোনাতে যারা আক্রান্ত হন তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ শতাংশেরই লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে না। আবার যারা কর্মঠ তারা হালকা সর্দি কাশি হলে বলেনও না। সচেতনতার অভাবে সেটা আমলে নেন না। সবকিছু মিলিয়ে কম বলা যাবে না। হয়তো আমরা খবর পাচ্ছি কম। আক্রান্ত কম এটা বলতে আমাদের স্টাডি করা লাগবে। কিন্তু এ ভাইরাসের যে চরিত্র তাতে করে বেশি হওয়া ছাড়া কম হওয়ার কোনও যুক্তি নাই।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২০১৪ সালে বস্তিশুমারি ও ভাসমান লোকগণনা জরিপ করেছিল। সরকারি এই সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় এক হাজার ৬৩৯টি বস্তি রয়েছে। এসব বস্তিতে খানা বা ঘর বা পরিবার রয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার ৩৪০টি। আর খানাসদস্য চার লাখ ৯৯ হাজার ১৯ জন। এছাড়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বস্তি রয়েছে এক হাজার ৭৫৫টি। এসব বস্তিতে খানা বা ঘর বা পরিবার রয়েছে ৪০ হাজার ৫৯১টি। এসব ঘরে বসবাস করেন এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৬ জন। তবে গত কয়েক বছরে এই সংখ্যা আরও অনেক বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কত জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা থাকলেও কোন বস্তিতে কত জন আক্রান্ত তার কোনও তথ্য নেই। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, ২৪ জুন পর্যন্ত রাজধানীর মহাখালী এলাকায় মোট ৫৬৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মহাখালীতেই বাংলাদেশের দুটি বড় বস্তি রয়েছে, যার একটি কড়াইল বস্তি ও অপরটি সাততলা বস্তি হিসেবে পরিচিত।

কড়াইল বস্তিতে বিবিএস-এর ২০১৪ সালের করা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে ১০ হাজার ২২২টি ঘর বা খানা রয়েছে। এসব খানায় ৩৬ হাজার ৭১৯ জন বাস করেন। কিন্তু স্থানীয় বস্তি উন্নয়ন কমিটির নেতারা বলছেন, এই বস্তিতে ১২ হাজার ঘর রয়েছে। বস্তির লোকসংখ্যা প্রায় আড়াই লাখের মতো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও