কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঔষধ প্রশাসনের শর্ত পূরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে গণস্বাস্থ্য

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২০, ০৮:২৭

ঔষধ প্রশাসনের শর্ত পূরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের গবেষক দলের সদস্যরা। তাঁরা সরকারের বেঁধে দেওয়া নতুন নীতিমালার শর্ত পূরণ করতে চান। এ জন্য তাঁরা অবিলম্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষক দলের সঙ্গে বৈঠক বসতে আগ্রহী। আজ শনিবার তাঁরা এ বিষয়ে কথা বলতে বিএসএমএমইউর গবেষক দলের কাছে যেতে পারেন।

২৫ জুন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর প্রথমবারের মতো সফল অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট পরীক্ষার জন্য দুটি গাইডলাইন বা নীতিমালা অনুসরণের কথা গণস্বাস্থ্যের কাছে উল্লেখ করেছে। এর একটি হলো মার্কিন কেন্দ্রীয় ওষুধ সংস্থা এফডিএ (ফেডারেল ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) নির্ধারিত নীতিমালা, অন্যটি হলো আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড (মান)/গাইডলাইন (নীতিমালা)।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং লাইসেন্সিং অথরিটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান গণস্বাস্থ্যকে দেওয়া চিঠিতে বলেছেন, ওই নীতিমালার শর্ত পূরণ করতে না পারার জন্য অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটটির নিবন্ধন দেওয়া সম্ভব হলো না।

জেনারেল মাহবুবুর রহমান অবশ্য তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘তবে পরবর্তী সময়ে এই কিটটির উন্নয়নের বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’

গণস্বাস্থ্যের গবেষক দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এফডিএসহ বিশ্বের সব নিয়ন্ত্রক সংস্থার সমর্থিত সর্বজনীন নীতিমালা আইএসও ১৩৪৮৫ অনুসরণ করে কিট তৈরি করেছি। আর মার্কিন এফডিএর যে নীতিমালার কথা এখন বলা হচ্ছে, সেটা মাত্র কয়েক দিন আগেই এফডিএ প্রথম প্রকাশ করেছে।’

যোগাযোগ করা হলে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রথম আলোকে গত রাতে জানিয়েছেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের চিঠির আলোকে তাঁরা তাঁদের পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণের বিকল্পগুলো খতিয়ে দেখছেন।

ওই নীতিমালা অনুযায়ী, গণস্বাস্থ্যের টেস্ট কিটের
সংবেদনশীলতা (সেনসিটিভিটি) ও নির্দিষ্টকরণের (স্পেসিফিসিটি) ন্যূনতম সীমা বা লেভেল হতে হবে যথাক্রমে ৯০ ও ৯৫ শতাংশ। কিন্তু বিএসএমএমইউর গবেষক দল ১০৯ জন করোনা পজিটিভ রোগীর ওপর অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট প্রয়োগ করে। এতে তারা দেখতে পায়, ৬৯.৭ শতাংশ রোগীর দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি গণস্বাস্থ্যের কিট প্রমাণ করতে পেরেছে। বাকিদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব কিটে ধরা পড়েনি। রোগীর হিসাবে মোট ১০৯ জনের মধ্যে ৭৬ জনের দেহে অ্যান্টিবডি এসেছে। ৩৩ জনের দেহে অ্যান্টিবডি শনাক্ত হয়নি। অবশ্য এই ফলাফলের ভিত্তিতেই বিএসএমএমইউর গবেষক দল প্রকারান্তরে গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিটের অনুকূলে মতামত দিয়েছিল। তারা ঔষধ প্রশাসনকে জানিয়েছিল, ‘এই কিট দেশে করোনা রোগের ব্যাপকতা পর্যবেক্ষণে (সেরোসার্ভিলেন্স) দেখার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ, এই কিটের মাধ্যমে ইতিপূর্বে যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এ তথ্য আমাদের কোভিড প্লাজমা বিতরণ, কোয়ারেন্টিন সমাপ্তির সময় নির্ধারণ এবং লকডাউন উত্তোলনের রূপরেখা তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও