কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বেকারত্ব বেড়েছে, অনেকের আয়ের উৎস একেবারেই বন্ধ

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২০, ০৯:৪৪

কোভিড-১৯–এর কারণে মানুষের আয় কমে গেছে, বেড়েছে বেকারত্ব। যাদের আয় কম, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। এমন অনেক ব্যক্তি আছেন, যাঁদের আয়ের উৎস একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা (বিআইডিএস) গতকাল দেশের ২৯ হাজার ৯০৯ জনের ওপর জরিপ পরিচালনা করে এই তথ্য দিয়েছে। জরিপটি পরিচালনা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদ। একই অনুষ্ঠানে বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক বিনায়েক সেন একটি গবেষণা উপস্থাপন করে জানান, করোনার কারণে দেশের ১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। কোভিডের ছায়ায় বসবাস, খাপ খাওয়ানো, সমন্বয় ও প্রতিক্রিয়া শীর্ষক এক বিশ্লেষণী সংলাপে জরিপের ফল উপস্থাপন, দারিদ্র্য হারের এ প্রক্ষেপণ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিষয়ে একটি গবেষণা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অনলাইনে গত ৫ মে থেকে ২৯ মে পর্যন্ত সময়ে জরিপটি পরিচালনা করা হয়।

কমপক্ষে মাধ্যমিক পাস এমন মানুষকে জরিপের জন্য বেছে নেওয়া হয়। পুরুষ ও নারী অনুপাত হচ্ছে ৬৭:৩৩। জরিপে অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৫৯ শতাংশের কাজ আছে, ১৭ শতাংশ করোনার আগেই বেকার ছিলেন, আর ১৩ শতাংশ করোনার প্রাদুর্ভাবের পরে কাজ হারিয়েছেন। আর ৬৩ শতাংশ পরিবারে উপার্জনকারী একজন, ২৫ শতাংশ পরিবারে দুজন, আর ৬ শতাংশ পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ নেই।

আয় কমেছে

প্রশ্ন করা হয়েছিল, আগের মাসের তুলনায় তাঁদের আয়ের অবস্থা কী। মাসে ১৫ হাজার টাকার কম আয় করেন এমন ৫৮.০৭ শতাংশ বলেছেন, তাঁদের আয় কমে গেছে। আয় একদম বন্ধ হয়ে গেছে ২৩.২ শতাংশের, ১৮.৫১ শতাংশের আয় একই রকম আছে। ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা মাসে আয় করেন, তাঁদের পরিস্থিতি একটু অন্য রকম। ৪৭.২৬ শতাংশের আয় কমে গেছে, ৪৩.২১ শতাংশের একই রকম আছে, ৯.০৪ শতাংশের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। আর যাঁদের আয় ৩০ হাজার টাকার বেশি, তাঁদের ৫৩.২৬ শতাংশের আয় একই আছে, ৩৯.৪ শতাংশের কমেছে, ৬.৪৬ শতাংশের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, যাঁদের আয় কম, তাঁরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

কমেছে পরিবারের আয়

পরিবারের আয় কতটা কমেছে, তা–ও জানতে চাওয়া হয় জরিপে। দেখা গেছে, মাসে ১১ হাজার টাকার কম আয় ছিল এমন ৫৬.৮৯ শতাংশ পরিবারের আয় বন্ধ হয়ে গেছে, ৩২.১২ শতাংশের আয় কমে গেছে এবং ১০.৭৯ শতাংশের আয় আগের মতোই আছে।

১১ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় ছিল এমন পরিবারের মধ্যে ৪০.৮১ শতাংশের আয় আগের মাসের তুলনায় কমে যাওয়ার কথা বলেছে। ৩৭.০১ শতাংশের আয় একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।

আর ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় আছে এমন পরিবারের চিত্র একটু ভিন্ন। তাঁদের ৪৫.৭৪ শতাংশেরই আয় একই আছে, কমেছে ৩৮.৩৮ শতাংশের, বন্ধ হয়ে গেছে ১৫.১৭ শতাংশের।

বেকার বাড়ছে

জরিপ অনুযায়ী, করোনার কারণে সব জেলাতেই বেকারত্ব বেড়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে সিলেটে কর্মসংস্থান হারানোর হার বেশি। আর শহর এলাকার তুলনায় গ্রামে কাজ হারিয়েছে বেশি। করোনা আগে গ্রামে বেকারের হারও ছিল বেশি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও