কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনা বর্জ্যে বাড়ছে দূষণ-হুমকি, নেই কোনো নীতিমালা

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২০, ০৮:২০

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার সংক্রমণের ফলে বেড়েছে মাস্ক, গ্লাভস, পারসোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই), স্যানিটাইজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুরক্ষা সরঞ্জামের ব্যবহার। কিন্তু, নির্দিষ্ট কোনো নীতিমালার না থাকায় ব্যবহারের পর এসব সুরক্ষা সামগ্রী যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে করোনা বর্জ্যের ফলে দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশ দূষণ বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।

অনেকেই করোনার এসব সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারের পর রাস্তাঘাটেই ফেলে দিচ্ছে। এতে করে এগুলো বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে চলে যাচ্ছে ড্রেনে, ড্রেন থেকে নদীতে। সবরশেষে এগুলোর ঠিকানা হচ্ছে সাগরের তলদেশে। ফলে সাগরের জীববৈচিত্র্য, পরিবেশেও ভবিষ্যতে এসবের ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।

পরিবেশবিদদের আশংকা, করোনা থেকে আত্মরক্ষার জন্য যে উপকরণগুলো অত্যাবশ্যকীয়, ভবিষ্যতে তা হয়ে উঠবে পরিবেশ দূষণের অন্যতম বিপদের কারণ। একবার ব্যবহার করা মাস্ক এবং গ্লাভসকে এ ক্ষেত্রে দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

সুতি কাপড়ের তৈরি মাস্ক দ্রুত পচনশীল হওয়ায় পরিবেশের তেমন কোণো ক্ষতি হয় না। তবে পলিভিনাইলের তৈরি মাস্ক এবং নাইট্রাইল, ভিনাইল এবং প্লাস্টিক দিয়ে হ্যান্ড বানানো গ্লাভস দীর্ঘদিন পরিবেশে থেকে যায় ও এর ক্ষতি করে। একই সঙ্গে মানুষ যে ধরনের স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছে, তার প্রায় সবই প্লাস্টিকের বিভিন্ন বোতলে বিক্রি করা হয়। স্যানিটাইজারের এসব খালি বোতলও নতুন করে পরিবেশ দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন শহরাঞ্চলে, যেখানে সেখানে মাস্ক, গ্লাভস ও সানিটাইজারের বোতল দেখা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষসহ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরাও এসব সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করছেন। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই এসব সুরক্ষা সামগ্রী ডিসপোজালের কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। ফলে করোনার সুরক্ষা সামগ্রীই পরিণামে হয়ে উঠছে করোনা সংক্রমণের অন্যতম নিয়ামক। বাড়ছে পরিবেশ দূষণ।

এসব প্রসঙ্গে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক সচিব, প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান বাংলানিউজকে বলেন, করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারের পর সঠিকভাবে ধ্বংস না করলে পরিবেশের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। প্লাস্টিকের যে দূষণ, করোনা বর্জ্যেরও একই দূষণ। এই দূষণের পরিমাণ এখন অনেক বেশি হচ্ছে। প্রথমত এগুলো উৎপাদন, ব্যবহারের সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো নীতিমালা বা নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে যে যেভাবে পারে এগুলো উৎপাদন ও ব্যবহার করছে। আমরা বাহির থেকে এসে মাস্ক কিংবা গ্লাভস খুলে অন্যান্য বর্জ্যের সঙ্গে ফেলে দিচ্ছি। এসব সুরক্ষা সামগ্রীতে যদি কোনো ধরনের জীবাণু থাকে, তাহলে যে এটা হ্যান্ডল করছে সে আক্রান্ত হতে পারে। যেখানে এই বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সেখানেও জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে। এরপর এই বর্জ্য আবার নদীনালা, খাল বিলে চলে যাচ্ছে। পরিবেশের ক্ষতি করছে।
করোনা বর্জ্যে বাড়ছে দূষণ।

‘সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে- আপনারা মাস্ক, গ্লাভস ব্যবহার করেন। কিন্তু ব্যবহারের পর কীভাবে এটা ধ্বংস করা হবে, সেই বিষয়ে বলা হচ্ছে না। করোনা ভাইরাস আবির্ভাবের ৬ মাস অতিবাহিত হলেও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাই গড়ে তুলতে পারিনি। আমাদের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে, আমরা সবসময় কেবল তাৎক্ষণিক বিষয়টা নিয়েই ভাবি। ভবিষ্যতে এর প্রভাব কী হবে, সেটা ভাবি না। এই বর্জ্য ভবিষ্যতে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য বিশিষ্ট ভাইরোলজিষ্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে কোভিড চিকিৎসার যে হাসপাতালগুলো আছে, আমরা বলেছিলাম সেগুলোর বর্জ্য এবং অন্যান্য হাসপাতালের বর্জ্য এক সঙ্গে রাখা যাবে না। কোভিড হাসপাতালের বর্জ্য আলাদা করে ডিসইনফেক্টেড করে, তারপর এগুলো বর্জ্য যারা নিষ্কাশন করে তাদের দিতে হবে। কিন্তু এখনও সেটা কার্যকর করা হয়নি। কোভিড হাসপাতালের বর্জ্য একেবারে সঠিক ব্যবস্থাপনায় বৈজ্ঞানিক উপায়ে পরিচালনা করতে হবে, তা না হলে এসব বর্জ্যই করোনার বিরাট একটা সোর্স তৈরি করবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও