কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতা, ভাঙন শুরু হলেই চলে নামমাত্র কাজ

বার্তা২৪ প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২০, ১০:২৯

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার পরিবার রয়েছে পদ্মা নদী ভাঙনের হুমকিতে। প্রতি বছরই নদীর কূলে বসবাসরত মানুষগুলো নদী ভাঙনের সম্মুখীন হলেও এবার বর্ষা মৌসুম শুরুর প্রথম দিকেই রয়েছে তারা আতঙ্কে।

এরই মধ্যে ভাঙন শুরু হয়ে গেছে। ভাঙন শুরু হলেও ভাঙনরোধে এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেননি। নদী ভাঙনরোধে অগ্রিম কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নদী পাড়ের হাজারও মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এমন উদাসীনতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।


ভাঙনের মুখে দুই হাজার পরিবার

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভাঙনরোধে অগ্রিম কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। যখন ভাঙনের তীব্রতা চরম পর্যায়ে চলে যায় তখন নাম মাত্র ভাঙনরোধ করার ব্যর্থ চেষ্টা চালায় তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভাঙনরোধের সেই কাজের গুণগত মান নিয়েও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

সরেজমিনে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ছাত্তার মেম্বার পাড়া, নতুনপাড়া, ব্যাপারী পাড়া, লালুপাড়া, মুন্সীপাড়া গিয়ে দেখা যায়, নদীর পাড়ের ভাঙন শুরু হয়েছে। চোখের সামনেই নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে বসতভিটা ও ফসলি জমি। হুমকিতে রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। অনেকেই নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।

ছাত্তার মেম্বারপাড়ার বাসিন্দা আজহার পাটোয়ারি (৭০) ও সিদ্দিক পাটোয়ারি (৪২) বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতি বছরই নদী ভাঙে। তবে এবার বর্ষা মৌসুম শুরুর প্রথম দিকেই ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে এখনই জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা প্রয়োজন।

একই পাড়ার জহিরের স্ত্রী মাজেদা বেগম (৫৫) বার্তা২৪.কমকে বলেন, রাতে ঘুমাতে পারিনা। শুধু চিন্তা এই বুঝি স্বামীর ভিটে বাড়িটা নদীতে খেয়ে ফেলল। ঘুম থেকে জেগেই বসে থাকি নদীর পাড়ে।

দৌলতদিয়ার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমিই নিজের চোখে দেখছি প্রায় ১০ বছর ধরে নদী ভাঙন। এই নদী গর্ভে আমার চোখের সামনে চলে গেছে হাজার হাজার হেক্টর কৃষি জমি, বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙনরোধে সময় মতো কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় আরো বেশি ক্ষতি হয়। ভাঙন বেশি শুরু হলে তখন কাজ করলে কোন লাভই হয়না। তারপর আবার যে কাজ করে তাও একেবারে ফাঁকিজুকি।

দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: কাশেম খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই ইউনিয়নের প্রায় ৬০০ পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে। আমি সরকারের কাছে দাবি করছি এ সকল পরিবারগুলোকে রক্ষা করার জন্য যত দ্রুত সম্ভব উদ্যেগ গ্রহণ করার জন্য।

দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার ইউনিয়নেই প্রায় ১৫০০ পরিবার রয়েছে নদী ভাঙনের হুমকিতে। গত বছর তিনটি ইউনিয়নের ৩০০ পরিবার নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বারবার প্রশাসনকে নদী শাসনের কাজ করার জন্য আবেদন করলেও কোনো ফলাফল পাচ্ছিনা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও