কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নিউইয়র্কের নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশী অভিবাসী প্রার্থী

বিবিসি বাংলা (ইংল্যান্ড) প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২০, ১৯:৩৬

যুক্তরাষ্ট্রের করোনাভাইরাস এপিসেন্টার নিউইয়র্কে লকডাউন উঠানোর মাত্র প্রথম ফেজ চলছে। কিন্তু শহর জুড়ে প্রতিবাদের মিছিল দেখলে বলার উপায় নেই ক'দিন আগেও এই শহরবাসী করোনাভাইরাসের আতঙ্কে গৃহবন্দী ছিল।

জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার ঘটনা পাল্টে দিয়েছে দৃশ্যপট, বদলে দিচ্ছে ঘটনার গতিপথ। কোভিড-১৯ আতঙ্ক, বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদের মিছিল, পাশাপাশি ঘনিয়ে আসা প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনী আমেজ — সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরগরম।

আর এই নির্বাচনী লড়াইয়ে বিভিন্ন পদে শরিক হওয়ার জন্য এবার লড়ছেন সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশী-আমেরিকান প্রার্থী। জুন মাসের ২৩ তারিখের প্রাইমারীতে নির্ধারিত হবে তাদের মধ্যে কারা নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে নিজ দলের প্রার্থী হবেন।

বাংলাদেশীদের প্রতিনিধি নেই

বাংলাদেশীরা যুক্তরাষ্ট্রে মূলত আসতে শুরু করে আশির দশকে। ১৯৭১-পরবর্তী সময় থেকে প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী অভিবাসীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। ১৯৭৩-এ যে সংখ্যা ছিল ১৫৪, ১৯৭৬-এ ৫৯০, সেই সংখ্যা ১৯৮০ সালে এসে দাঁড়ায় ৩,৫০০ জনে।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন কয়েক লাখ বাংলাদেশী অভিবাসী রয়েছেন, যার মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার বাংলাদেশী-আমেরিকান বাস করেন নিউইয়র্ক শহরে।

নিউইয়র্ক শহরে এখন এই বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী-আমেরিকান থাকা স্বত্বেও সিটি কাউন্সিলে তাদের কোনো সরাসরি প্রতিনিধি নেই। এবার শহর জুড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আট জন বাংলাদেশী-আমেরিকান, যা এ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক।

বার্নি স্যান্ডার্সের আদর্শ

মৌমিতা আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন যখন বয়স আট বছর। বাবা কাজ করেন একটা প্যাকেজিং মেডিসিন ফ্যাক্টরিতে। মৌমিতা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে পড়ালেখার পাশাপাশি সমাজসেবা মূলক কাজের সাথে জড়িত।

মেয়ে বড় হয়ে ডাক্তার হবে বাবা মা'র এমন স্বপ্ন থাকলেও মৌমিতাকে সমাজ-সেবা, রাজনীতিই টেনেছে। বার্নি স্যান্ডার্সের আদর্শে প্রভাবিত হয়ে রাজনীতিতে এসেছেন। স্বপ্ন দেখছেন অভিবাসীদের নানা সংকট এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন, যদি ডিসট্রিক্ট লিডার হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান।

যুক্তরাষ্ট্রে এসে পারফিউম ওয়ার হাউজে কাজ করেছেন জয় চৌধুরী। সেখানে ভারী বাক্স উঠা-নামা করাই ছিলো তাঁর প্রথম কাজ।

'আমি যে কাজ করেছি তা সুঠাম কৃষ্ণাঙ্গও এক সপ্তাহের বেশী করতে পারতো না,'' জয় বলেন।

তিনি ট্যাক্সি চালাচ্ছেন নয় বছর ধরে। জয় চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে দুইবার ৬০ হাজার স্টুডেন্টের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ভর্তি ফি কমানোর জন্য গভর্নর অ্যান্ড্রো কুমোর বিরুদ্ধে আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবার তিনি নিউইয়র্কের বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস্, এমহার্স্ট, উডসাইড এলাকায় অ্যাসেম্বলি ডিসট্রিক্ট ৩৪ থেকে নির্বাচন করবেন।

বাংলাদেশী তরুণ অভিবাসীরা রাজনীতিতে এগিয়ে এলেও পথটা তাদের মসৃণ নয়। জয় বললেন এখানে পথ দেখানোর কেউ নেই, কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি অভিভাবক নেই যারা তাদের গাইড করতে পারেন।

''উল্টো আমাদের বৈষম্যের শিকার হতে হয়। এখানে হিসপানিকরা আছেন, বা যারা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত, তারা ডমিনেট করতে চায়,'' বললেন তিনি।

আওয়ামী-বিএনপি দ্বন্দ্বের ছায়া
এখানে বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে বিরাজমান বিভেদও বাংলাদেশী-আমেরিকান স্থানীয় রাজনীতিবিদদের জন্য একটা বড় প্রতিবন্ধকতা।

এখানেও বাংলাদেশের চিরাচরিত আওয়ামী লীগ-বিএনপি দ্বিদলীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ছায়া। কোনো প্রার্থী বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিজের অপছন্দের দলের সমর্থক হলে তাকে অনেক সময় ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকেন কমিউনিটির সদস্যরা।

এর পাশাপাশি আছে বাংলাদেশী কমিউনিটির ভোট দেবার ব্যাপারে উৎসাহের অভাব। এশিয়ান আমেরিকান এ্যান্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ডার (এএপিআই)-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশিয়ান আমেরিকানরা তুলনামূলক ভাবে ভোট দেন কম।

২০০০ থেকে ২০১০ সালে ঠিক হিসপানিকদের পরেই ছিল এশিয়ানদের বৃদ্ধির হার, যেখানে হিসপানিক জনসংখ্যা বেড়েছে ৪৩.০ শতাংশ, এশিয়ানদের বৃদ্ধি হয়েছে ৪২.৯ শতাংশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও