কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া রাস্তার একি হাল!

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২০, ১১:২৬

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ৪৮.৫ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়নে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে কাজটি শুরু করে ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজও সেই কাজ শেষ হয়নি। ৪৮.৫ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ১৯.৭ কিলোমিটার বাকি রেখেই ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। সড়ক বিভাগ আগের ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ করাতে ব্যর্থ হয়ে ফেলে রাখা স্থানের জন্য আবারও দরপত্র আহ্বান করেছে।

তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী- গত জানুয়ারিতে দরপত্র গ্রহণ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে। যে কারণে কাজটি শুরু করা যায়নি। তবে অল্প দিনেই কাজটি শুরু করার আশা করছেন তারা।

এদিকে খালিশপুর-যাদবপুর ভায়া জিন্নানগর রাস্তার ফেলে রাখা ওই ২০ কিলোমিটারের কারণে এলাকার পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। রাস্তাটির অবস্থা এতোটাই খারাপ যে মানুষ হেঁটেও চলতে পারছে না। ওই রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের চালকরাও ভয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন। তাছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলেই সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর বাজার থেকে মহেশপুর-দত্তনগর-জিন্নানগর হয়ে যাদবপুরের রাস্তাটি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়।

ওই বছরই প্রাক্কলন তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ওই রাস্তাটি মেরামতের জন্য একনেকে ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর তিনটি প্যাকেজে বিভক্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে তিনটি প্যাকেজের কাজ পান যশোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ। যার মধ্যে রয়েছে খালিশপুর থেকে সেজিয়া, সেজিয়া থেকে ভোলাডাঙ্গা ও ভোলাডাঙ্গা থেকে যাদবপর পর্যন্ত রাস্তা। ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ কাজটি শুরু হয়ে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর শেষ করার কথা। ঠিকাদার সেভাবেই কাজ শুরু করেন। কিন্তু শেষ করতে পারেননি।

প্রথম দফায় কিছুটা কাজ করে বন্ধ রাখা হয়। এরপর আবারও শুরু করলেও দত্তনগর থেকে জিন্নানগর আনুমানিক ১২ কিলোমিটার ও সামন্তা থেকে মমিনতলা পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা কাজ না করে ফেলে রাখা হয়। ওই কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আমির হোসেন সে সময় জানিয়েছিলেন, যে দুইটি স্থানে তারা কাজ বন্ধ রেখেছেন সেখানে শুধুমাত্র ভেঙে চুরে যাওয়া জায়গা মেরামত করে কার্পেটিং করার কথা। কিন্তু সড়কটির বর্তমান যে অবস্থা তাতে ওই স্থানে কোনোভাবেই গর্ত ভরাট করে কার্পেটিং করলে থাকবে না। স্থানটি সম্পূর্ণ খুঁড়ে নতুন করে করতে হবে। যে কারণে তারা ওই দুইটি স্থানে কাজ করবেন না বলে সওজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও